নওগাঁর সাপাহারে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার পাহাড়ীপুকুর-মধুইল ৩কিলোমিটার রাস্তা নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। যাতে করে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউজ্জামান টিটু মাস্টার।
সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার আইহাই ইউনিয়নের পাহাড়ীপুকুর হতে মধুইল ৩কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করছেন সংশ্লিষ্টরা। যেখানে ডব্লিউবিএম ১নং পিকেট দিয়ে কাজ করার কথা সেখানে ৩নং পিকেট ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। এর আগেও রাস্তা সংস্কারের জন্য উল্টানোর সময় কর্তৃপক্ষের নিযুক্ত প্রতিনিধি এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী সবুর রহমানের অবহেলা ও তার মদদের কারনে উপরের ব্লাকটপ চুরি হওয়ার অভিযোগ করছেন স্থানীয় জনগণ। যার কোন ধরণের ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ব্লাকটপ রাস্তার অন্যান্য সামগ্রীর সাথে মিশিয়ে কার্পেটিং দেওয়ার কথা থাকলেও চুরি হবার ফলে সেগুলো ব্যবহার বঞ্চিত হয়েছে। যাতে করে রাস্তার কাজ মানসম্মত হবে না বলে ধারণা সচেতনদের।
এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের ম্যানেজার নুর আলম বলেন “এতোদিন পর্যন্ত ভালো মানের পিকেট দিয়ে কাজ করা হয়েছে। আজ হঠাৎ দুই গাড়ী খারাপ পিকেট এসেছে।”
রাস্তার হেড মিস্ত্রি আব্দুল হাই বলেন “আমরা ভালো পিকেট দিয়েই কাজ করেছি। হঠাৎ কেন খারাপ পিকেট আসলো তা আমাদের জানা নেই।”
আইহাই ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউজ্জামান টিটু বলেন “ রাস্তা শুরু থেকে কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারনে ব্লাকটপ চুরি থেকে বিভিন্ন স্থানে নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে কাজ চলছিলো। বর্তমানে ৩নং পিকেট দিয়ে কাজ চলার কারনে আমি কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।”
দায়িত্বরত এলজিইডি’র উপ সহকারী প্রকৌশলী সবুর রহমানের কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, “ পূর্বে সব ভালো মানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হয়েছে। আজ হঠাৎ চার গাড়ী খারাপ পিকেট আসলে আমরা তা ফেরৎ পাঠাই। বর্তমানে রাস্তার কাজ বন্ধ আছে। আমরা ভালো ইট নিয়ে এসে এখানেই পিকেট বানিয়ে রাস্তার কাজ আবার শুরু করবো।” রাস্তার ব্লাকটপ চুরির বিষয়ে কথা হলে তিনি এড়িয়ে বিষয়টি যান।
বর্তমানে এই রাস্তায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরী করায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার সচেতন মহল।