১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন


চক্রান্তমূলক মামলা থেকে বাঁচতে চায় যুবক রাজিব!
স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০১-২০২৩
চক্রান্তমূলক মামলা থেকে বাঁচতে চায় যুবক রাজিব! রাজিব আলী।


মানুষের মৃত্যু হয় একবার। কিন্তু চক্রান্তমূলক শক্ত কোন মামলায় ফাঁসিয়ে দিলে মারা যায় বার বার। যেমন- জামিন পেতে পেরিয়ে যায় মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। সেই জামিন নামের সোনার হরিণটি পেতে খরচ হয় লাখ লাখ টাকা। সেই সাথে একটা তরুণ বা যুবকের নষ্ট হয় শিক্ষা জীবন। কারো চলে যায় চাকরী, ব্যবসা, ধ্বংস হয় সংসার। সবমিলে ভূক্তভোগীর অবশিষ্ট জীবনটা ধুকে ধুকে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু চক্রান্তকারী ? লোকচক্ষুর আড়ালেই থেকে যায়।

২৩ অক্টোবর ২০১৯। দুপুর দেড়টা। রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন গোরহাঙ্গা বিন্দুর মোড় এলাকার বাসিন্দা মোঃ মাসুদ রানা সরকার। তার বাড়িতে মহানগর ডিবি পুলিশের এসআই হাসান ও ৫/৬জন সঙ্গীয় ফোর্স উপস্থিত হয়। এ সময় বাড়ির মালিক মোঃ মাসুদ রানা সরকারের বড় ছেলে মোঃ রাজিব আলীকে (২৬) এসআই হাসান পিস্তল ধরেন। বলেন, হেরোইন-ইয়াবা আছে বের করে দে। এরপর পুরো বাড়ি তল্লাশী চালিয়ে কোন কিছু না পাওয়ার পরও যুবক রাজিব আলী ও তার বন্ধু মোঃ আব্দুল মোতালেবকে বাড়ি থেকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। 

পরের দিন অর্থাৎ (২৪ অক্টোবর) রাজিবের সামনে একটি টেবিলের উপর ৫০ গ্রাম হেরোইন ও ২০০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটের ছবি সম্মেলিত একটি সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচার হয়। অভিযানকারী পুলিশরা হলো হিরো। রাজিবের নামে দেয়া মামলায় জেল হাজতে থেকে জামিনে মুক্তি পেতে রাজিবের সময় লাগলো ১৫ মাস ২০ দিন। আর সেই জামিন নামের স্বর্ণের হরিণ পেতে রাজিবের বাবার খরচ হলো ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আইটি লাইফ কোম্পানী। যাহা কাজি ব্রাদার্সের একটি প্রতিষ্ঠান। সেই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ছিলেন রাজিব আলী। সেখান থেকে তাকে চাকরিচ্যুত করেছে প্রতিষ্ঠানটির কতৃপক্ষ। মামলা থেকে মুক্তির আশায় আজ আবদি হতাশাগ্রস্থ রাজিব ছুটছে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তির দারে দারে। কারন সে জানে জেলে থাকা কি কষ্টের। জেলে থাকার চেয়ে মৃত্যু শ্রেয়।

ভুক্তভোগী রাজিবের পিতা মোঃ মাসুদ রানা সরকার জানায়, আমার ছেলের এতবড় ক্ষতি কেন করা হয়েছিলো ? আর কেনই বা মাদক দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। সত্য যখন বের হতে শুরু করেছে। সকল তথ্য প্রমান নিয়ে ন্যায় বিচার ও শাস্তির দাবিতে ওই অভিযানিক দলের বিরুদ্ধে শিঘ্রই আদালতে দারস্থ হবো। 

ওই অভিযানে থাকা এক কন্সটেবল জানায়, রাজিবের বাড়ী তল্লাশী চালিয়ে দুই বোতল ফেনসিডিল ও একটি কেরু ব্র্যন্ডের মদের বোতল পাওয়া যায়। তবে বোতলে অর্ধেক মদ ছিলো। 

তাঁর বক্তব্যের সেই ভিডিও সংরক্ষন রয়েছে। অভিযানে থাকা অন্যান্যদের বক্তব্যে পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করা হবে পরের সংখ্যায়। পর্ব-১