২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০২:৪৪:৩৫ অপরাহ্ন


রেলওয়ের পেনশন ব্যবস্থাপনা বিকেন্দ্রিকরণের দাবিতে মানববন্ধন
মোঃ ফায়সাল হোসেন:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০২-২০২২
রেলওয়ের পেনশন ব্যবস্থাপনা বিকেন্দ্রিকরণের দাবিতে মানববন্ধন রেলওয়ে পেনশন ব্যবস্থাপনা বিকেন্দ্রীকরণের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন


রাজশাহীতে রেলওয়ের পেনশন ব্যবস্থাপনা বিকেন্দ্রিকরণের দাবিতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একটি মানববন্ধন করেছেন। রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান অর্থ উপদেষ্টার দপ্তরের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।  

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রেলওয়ের অর্থ বিভাগের জুম মিটিং এ সিদ্ধান্ত হয় প্রায় ১৭ হাজার ৫০০ জন পেনশনভোগীদের পেনশন কেন্দ্রিয়ভাবে চট্টগ্রাম রেল দপ্তর থেকে ইএফটি’র মাধ্যমে প্রদান করা হবে। এমনিতেই আইবাস প্লাস প্লাস সিস্টেম নতুনভাবে চালু হওয়ায় শতভাগ ত্রুটিমুক্ত নয়। তার ওপর হুট করে এ নতুন সিদ্ধান্ত পশ্চিমাঞ্চলের পেনশনভোগীদের জন্য বড় বিড়ম্বনার। এ ব্যবস্থাপনা চালু হলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বহু দুস্থ, বয়স্ক পুরুষ-মহিলা ও প্রতিবন্ধী পেনশনভোগী সন্তানেরা সেই সূদুর চট্টগ্রামে যেতে সক্ষম হবে না। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে।

বক্তারা বলেন, এ ব্যবস্থাপনা রেল কর্তৃপক্ষকে সরে আসতে হবে এবং উভয় অঞ্চলের পেনশন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। রেল কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের পেনশন ব্যবস্থাপনা চট্টগ্রামে কেন্দ্রীয়করণ হলে পশ্চিমাঞ্চলে কর্মরত পেনশনভোগীরা চরম দুর্গতিতে পতিত হবেন।

এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রেল শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ওয়ালী খান, মেহেদী হাসান, জাহাঙ্গীর আলম এমএ আক্তার, ইকবল হায়দারসহ প্রমুখ। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন রেলওয়ের শ্রমিক লীগের রাজশাহী শাখার সভাপতি জহুরুল ইসলাম।

মানববন্ধন শেষে নেতৃবৃন্দরা পশ্চিমাঞ্চল রেলের জিএম অসীম কুমার তালুকদারের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন রেলওয়ে শ্রমিক লীগ ও ওপেন লাইন শাখার নেতৃবৃন্দরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন  কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকারী সভাপতি ওয়ালি খান অতি, সাধারন সম্পাদক মো মেহেদী হাসান, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী,   যুগ্মসাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, তথ্য গবেষণা সম্পাদক ইকবাল হায়দার, রেল শ্রমিক লীগ ওপেন লাইন শাখা সভাপতি জহুরুল ইসলাম, মোতাহার হোসেন, আইনুল ইসলাম, মান্নান বাবু, দেবত্র সিনহা দেবুসহ প্রমুখ।

রাজশাহীর সময় / এফ কে