২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৬:২২:২১ পূর্বাহ্ন


গর্ভপাতের প্রমাণ মুছতে ভ্রূণ খাওয়ানো হল পোষা কুকুরকে!
রিয়াজ উদ্দিন:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০১-২০২৩
গর্ভপাতের প্রমাণ মুছতে ভ্রূণ খাওয়ানো হল পোষা কুকুরকে! গর্ভপাতের প্রমাণ মুছতে ভ্রূণ খাওয়ানো হল পোষা কুকুরকে!


গর্ভপাতের পর ভ্রূণ নিয়ে নিজের পোষা কুকুরকে খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক কোয়াক ডাক্তারের বিরুদ্ধে। এমনকী গর্ভপাতের দিনকয়েক পরে স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় মারা যান ওই মহিলা। এরপরই তাঁর পরিবারের সদস্যরা থানায় গিয়ে সেই ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। বিহারের হাজিপুরের এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত কোয়াক ডাক্তার ও তার স্ত্রী।

মৃতার পরিবারের অভিযোগ, কয়েক সপ্তাহ আগে ওই মহিলা পেটে ব্যথা নিয়ে সেই ডাক্তারের কাছে যান। এরপর সেই ডাক্তার তাঁকে দেখে বলে, গর্ভপাত করাতে হবে। নাহলে জীবনহানির আশঙ্কা রয়েছে। এরপর মহিলাকে একটি ওষুধ খেতে দেয় সে। এতে ভ্রূণটি নষ্ট হয়ে যায়। পরে অপারেশন করে সেটি বের করা আনা হয়। 

সব শেষে কবর দেওয়ার জন্য পরিবারের লোকজন ভ্রূণটি চাইলে তা দিতে অস্বীকার করে সেই ডাক্তার। পাল্টা সে বলে, “এই কাজের কোনওরকম প্রমাণ রাখা চলবে না। আমি বাড়ির পোষা কুকুরকে ওটা খাইয়ে দেব।” এরপর আর কথা বাড়াননি কেউই। ক্লিনিক থেকে বাড়ি ফিরে আসেন সবাই।

এর দু’দিন পর হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন সেই মহিলা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে পাটনায় নিয়ে যাওয়া হয়। টানা ১১দিন সেখানে ভর্তি থাকার পর মারা যান ওই মহিলা। এরপরই সেই কোয়াক ডাক্তারের উপর ক্ষোভে ফেটে পড়ে পরিবার। বৈশালীর বালিগাঁও থানায় গিয়ে সেই ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। 

পরিবারের অভিযোগ, গর্ভপাতের জন্য ভুলভাল অপারেশন করে সেই মহিলার শরীরে বড়সড় ক্ষতি করে দিয়েছে ওই ডাক্তার। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত কোয়াক ডাক্তার ও তার স্ত্রী। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।