২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৩:০৪:১৮ পূর্বাহ্ন


মহানগরীতে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে সন্ত্রাসী হামলা ও ছিনতাই: উদ্ধার হয়নি ল্যাপটপ ও নগদ টাকা !
স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০১-২০২৩
মহানগরীতে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে সন্ত্রাসী হামলা ও ছিনতাই: উদ্ধার হয়নি ল্যাপটপ ও নগদ টাকা ! মহানগরীতে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে সন্ত্রাসী হামলা ও ছিনতাই: উদ্ধার হয়নি ল্যাপটপ ও নগদ টাকা !


কর্মস্থল থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন মোঃ মারুফ হোসেন (৩০) ও তার খালাতো ভাই মোঃ সানমুন আক্তার নিশাত (১৯)। পথে মোটরসাইকেলে পেট্রোল নিতে রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানাধীন ছন্দা পেট্রোল পাম্পে প্রবেশ করেন তারা। 

ওই সময় পেছন থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে এসে পারভেজ নামের এক যুবক হর্ণ দেয়।

মারুফ হোসেন বলেন, ভাই আপনি পাশ কেটে যান। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে পারভেজ নামের ওই যুবক। এ সময় তারা এক অপরের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এতে দূর্বৃত্ত পারভেজ মারধর করে মারুফ এবং তার খালাত ভাই সানমুন আক্তার নিশাতকে। একই সময় তার মোবাইল ফোন থেকে রিমন ওরফে রিমু নামের এক যুবককে ফোন দিয়ে পেট্রোল পাম্পে ডাকে পারভেজ।

এরপর ৩/৪ মিনিটের মধ্যে রিমুরা ৩/৪টি মোটরসাইকেল যোগে ৯/১০ যুবক ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তারা মারুফ ও  নিশাতকে বেধড়ক কিল-ঘুষি লাথি ও হেলমেট দিয়ে মারপিট করে আহত করে। মারপিটের এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীদের মধ্যে সাদা প্যান্ট পরিহিত দুইজন যুবক ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে দুইটি ল্যাপটপের ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে মোটরসাইকেলে উঠে এবং মাটিতে পড়ে থাকা মানি ব্যাগ একজন দূর্বৃত্ত পা দিয়ে সরিয়ে নিয়ে যায়।

যাহা সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে পরিস্কার দেখা যাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটে গত (১৯ জানুয়ারী) সন্ধা পৌনে ৬টার দিকে।

ছন্দা পেট্রোল পাম্পের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রিতি মতো সন্ত্রাসী হামলা শিকার হয়েছে মারুফ ও  নিশাত। 

এরপর ভূক্তভোগীরা আহত আবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ওই রাতেই (১৯ জানুয়ারী) ভুক্তভোগী মারুফ বাদী হয়ে শাহমখদুম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। 

ভুক্তভোগী মারুফ জানায়, তাদের দুইটি ব্যাগে দুইট ল্যাপটপ,একটি মানিব্যাগ একটি (রেডমি নোট ৯এস) এন্ড্রয়েড ফোন ও নগদ ৫০হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। 

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, পারভেজ ও রিমু একজন উগ্র ও বদমেজাজি মাদকাশক্ত। তাদের কাজই হলো তুচ্ছো ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারপিট করা ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেওয়া। তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্র বলেও জানায় স্থানীয়রা

শনিবার (২১ জানুয়ারী) সন্ধা সাড়ে ৬টায় মুঠো ফোনে জানতে চাইলে শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মেহেদি হাসান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। ভিডিও ফুটেজ দেখেছি। তদন্ত চলছে। শিঘ্রই অভিযুক্তদের সনাক্তপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওসি।