২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০২:৫৫:৪৯ অপরাহ্ন


১৭তম স্ত্রীর সহায়তায় ১৮তম স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০১-২০২৩
১৭তম স্ত্রীর সহায়তায় ১৮তম স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড ১৭তম স্ত্রীর সহায়তায় ১৮তম স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড


রংপুরের পীরগঞ্জে যৌতুকের টাকা না পেয়ে ১৭তম স্ত্রী তানজিনা খাতুনকে হত্যার ঘটনায় তার স্বামী আবু সাঈদকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় আসামিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ প্রামাণিত না হওয়ায় আসামির ১৮তম স্ত্রীকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক এম আলী আহমেদ এ আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবু সাঈদ পীরগঞ্জ উপজেলার পীলগড় এলাকার আজিমুদ্দিনের ছেলে। তবে তিনি আদালত থেকে জামিন নিয়ে গত ১২ বছর থেকে পলাতক রয়েছেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিশেষ পিপি তাজিবুর রহমান লাইজু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আবু সাঈদ একজন লোভী মানুষ। তার একাধিক বিয়ের প্রমাণ রয়েছে। ভিকটিম তানজিনা তার ১৭তম স্ত্রী, আর তাসকিরা ১৮তম স্ত্রী। তানজিনা হত্যা মামলার ঘটনায় স্বামী আবু সাঈদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পেরেছে। কিন্তু মামলায় সাক্ষী না পাওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ তাজকিরার সম্পৃক্ততা প্রমাণ করতে পারেনি; এজন্য তাকে আদালত খালাস দিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আবু সাঈদ বিয়ের পর থেকেই তানজিনার কাছে যৌতুকের টাকা দাবি করে আসছিলেন। এ নিয়ে প্রায় সময়েই তাকে মারধর করতেন। ২০০৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি যৌতুকের দাবিতে তানজিনাকে নিজ বাড়িতে মারধর করেন আবু সাঈদ। একপর্যায়ে যৌতুকের টাকা না পেয়ে আবু সাঈদ এবং তার অপর স্ত্রী তাসকিরা বেগমের সহায়তায় তানজিনাকে মারধর করে হত্যার পর বাড়ির পাশে ধানক্ষেতে ফেলে রাখেন।

পরদিন তানজিনার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তানজিনার বাবা তাজিম উদ্দিন এ ঘটনায় আবু সাঈদ ও তার অপর স্ত্রী তাসকিরা বেগমের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ওই বছরের ১৩ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ৩০ জুলাই মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন এবং বিচার কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর ২০১০ সালের ২৬ জুলাই আসামি আবু সাঈদ আদালত থেকে জামিন নেন। এরপর ২০১১ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে বর্তমান পর্যন্ত তিনি পলাতক রয়েছেন।

এ দিকে তানজিনা হত্যা মামলার অপর আসামি তাসকিরা বেগম ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জামিন পান। এরপর ২০১৪ সালের ১৮ মে থেকে বর্তমান পর্যন্ত তিনিও পলাতক রয়েছেন। তবে হত্যার ঘটনায় তাসকিরা সম্পৃক্ততা না থাকায় আদালত তাকে খালাস দেন।