আল্লাহ যদি সকল মানুষকে সুস্থতা বা অভাবমুক্ত কিংবা অন্য কিছু দান করেন তবে তাঁর ভাণ্ডারের কিছুই কমবে না। বরং ততটুকুই কমবে যতটুকু সাগরে একটি সূচ ডুবিয়ে উঠালে তার পানি কমে। আল্লাহ ছাড়া নেই কোন সত্য ইলাহ তিনি অমুক্ষাপেক্ষী ও প্রশংসিত। বিশ্বনবী তাঁর বিষয়াদি তাঁরই নিকট থেকে বর্ণনা করেন। যা তুলে ধরা হলো-
হজরত আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যা তিনি তাঁর রবের থেকে বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে আমার বান্দারা! নিশ্চয় আমি জুলুমকে আমার নিজের উপর হারাম করেছি এবং তোমাদের আপোসের মধ্যেও হারাম করে দিয়েছি। সুতরাং তোমরা আপোসে জুলুম কর না।
হে আমার বান্দারা! তোমরা সকলে পথ ভ্রষ্ট কিন্তু সে ব্যতিত যাকে আমি হিদায়াত দান করব। অতএব, তোমরা আমর নিকটে হিদায়াত তালাশ কর।
হে আমার বান্দারা! আমি যাকে পানাহার করাই সে ছাড়া তোমাদের সকলে ক্ষুধার্ত। অতএব, তোমরা আমার কাছে খাদ্য চাও আমি তোমাদের খাদ্য দান করব।
হে আমার বান্দারা! আমি যাকে পোশাক পরাই সে ছাড়া তোমাদের সবাই বস্ত্রহীন। অতএব, তোমরা আমার কাছে পরিধেয় বস্ত্র চাও, আমি তোমাদেরকে কাপড় পরাবো।
হে আমার বান্দারা! তোমরা রাত-দিন ভুল কর আর আমি সকল পাপরাজি ক্ষমা করি। অতএব, তোমরা আমার নিকটে ক্ষমা চাও, আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিব।
হে আমার বান্দারা ! তোমরা আমার কোন লাভ-ক্ষতি করতে পারবে না।
হে আমার বান্দারা! যদি তোমাদের আগের-পরের ও জ্বিন-ইনসানের সকলে তোমাদের মধ্যের সর্বোত্তম ব্যক্তির ন্যায় মুত্তাকি অন্তর হয়ে যাও তাহলে তা আমার বাদশাহিতে কিছুই বৃদ্ধি হবে না।
হে আমার বান্দারা! যদি তোমাদের আগের-পরের ও জ্বিন-ইনসানের সকলে তোমাদের মধ্যের সবচেয়ে জঘন্য ব্যক্তির ন্যায় ফাজের (গোনাহগার) অন্তর হয়ে যাও তাহলে তা আমার বাদশাহিতে কিছুই কমবে না।
হে আমার বান্দারা ! যদি তোমাদের আগের-পরের ও জ্বিন-ইনসানের সকলে একটি ময়দানে দাঁড়িয়ে আমার নিকটে চাও আর আমি সবার চাওয়া-পাওয়া দিই। তাতে ততটুকুই কমবে, যেমন সাগরে সূচ ডুবিয়ে উঠালে (সূচের মাথায়) যতটুকু পানি কমে।
হে আমার বান্দারা ! ইহা তোমাদের আমলসমূহ যা আমি তোমাদের জন্যে হিসাব করে রাখি। অতপর তার প্রতিদান তোমাদেরকে প্রদান করব।
সুতরাং, যে ব্যক্তি কল্যাণকর অবস্থা পাবে সে যেন আল্লাহর প্রশংসা করে আর যে এর বিপরীত পাবে সে যেন শুধুমাত্র নিজেকেই ধিক্কার দেয়।’ (মুসলিম)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ হাদিসের উপর আমল করে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।