২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৯:১০:৩৯ অপরাহ্ন


রাজশাহী থেকে আমের পর এবার দেশের বাইরে যাচ্ছে পেয়ারা
মঈন উদ্দিন:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০১-২০২৩
রাজশাহী থেকে আমের পর এবার দেশের বাইরে যাচ্ছে পেয়ারা ফাইল ফটো


আমের পাশাপাশি রাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে প্রথমবারের মতো ৫০০ কেজি পেয়ারা ইটালিতে রপ্তানি করা হয়েছে। গত সোমবার রাজধানীর একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই পেয়ারা রপ্তানি করা হয়। এরপর বরই বিদেশে রপ্তানি পণ্য হিসেবে সংযুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং অদূর ভবিষ্যতেই এটি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান।

রাস্তার দুই ধারে সারি সারি আম বাগান আর সুস্বাদু-বাহারি জাতের আমের কথা উঠলেই চলে আসে রাজশাহী অঞ্চলের নাম। এই জেলাকে আমের জন্য বিখ্যাত বলা হলেও মূলত আম প্রধান অঞ্চল হিসাবে খ্যাত জেলার বাঘা ও চারঘাট উপজেলা। এর মধ্যে মাটির গুনগত কারণে বাঘার আমকে দেশ বিখ্যাত হিসাবে খেতাব দিয়েছেন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। যার উদাহরণ হিসাবে লক্ষ্যণীয় গত ৬-৭ বছর ধরে এ উপজেলার আম রপ্তানি হচ্ছে ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে, পর্তুগাল এবং ফ্রান্স-সহ রাশিয়াতে। সম্পূর্ণ ফরমালিন ও কেমিক্যাল মুক্ত এই আম ইতোমধ্যে বাঘার সুনাম বয়ে এনেছে।

চলতি মওসুমে আমের পাশাপাশি বাঘা উপজেলা থেকে প্রথমবারের মতো ৫০০ কেজি পেয়ারা ইটালিতে রপ্তানি করা হলো। এটি মেসার্স আদাব ইন্টারন্যাশনাল, ঢাকা’র মাধ্যমে রপ্তানি করলেন বাঘার কলিগ্রাম এলাকার বৃহৎ ও সফল ফল উৎপাদনকারি মোঃ শফিকুল ইসলাম সানা । ভবিষ্যতে বরই বিদেশে রপ্তানি পণ্য হিসেবে সংযুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। খুব দ্রুতই পেয়ারা এবং বরই বেশি পরিমাণে রপ্তানি করার জন্য রপ্তানিকারকদের সাথে আলোচনা করা হচ্ছে এবং অদূর ভবিষ্যতেই এর ফলাফল জানানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান । তিনি বলেন, রাজশাহীর ৯ টি উপজেলার মধ্যে ৮ টিতে যে পরিমান আম বাগান রয়েছে, তার সমপরিমান বাগান রয়েছে কেবল বাঘা উপজেলায়।

কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেইজে লিখেছেন, চাকরি জীবনে নিজের জন্য কিছু করতে পারিনি। তবে কৃষকদের জন্য কিছু করে যেতে চাই। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের একটি জায়গাও যেনো অনাবাদি না থাকে। আমি এবং আমার টিমের সদস্যরা সেই লক্ষ্য-উদ্দেশ্যে নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কৃষিক্ষেত পরিদর্শন সহ কৃষকদের নানা পরামর্শ দিয়ে তাদের উদ্বুদ্ধ করে থাকি। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে কৃষিতে বহুক্ষেত্রে স্বনির্ভর হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি , অন্যান্য ক্ষেত্রেও খুব অচিরে দেশ স্ব-নির্ভর হিসাবে পরিচিতি লাভ করবে।