মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পরিচালনায় ‘ব্যাচেলর’ সিনেমার পর আর কোন সিনেমায় দেখা যায়নি নন্দিত অভিনেত্রী অপি করিমকে। সেই ছবি মুক্তির ১৫ বছর পর ‘মায়ার জঞ্জাল’ দিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন তিনি। বাংলাদেশ ও ভারত যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমাটির ইংরেজি নাম ‘ডেব্রি অফ ডিজায়ার’। ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার ঋত্বিক চক্রবর্তী।
বেশ কিছু আন্তর্জাতিক উৎসবে প্রদর্শিত হয়ে পুরস্কার ও প্রশংসা কুঁড়িয়ে এবার ভারত ও বাংলাদেশে একসঙ্গে একই দিনে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। এমনটি জানাচ্ছেন সিনেমাটির প্রযোজক এবং বাংলাদেশি নির্মাতা জসীম আহমেদ।
মুক্তির পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে শনিবার ফার্স্ট লুক প্রকাশ করা হয়েছে। নির্মাতা জানিয়েছেন, ভারত ও বাংলাদেশে একই দিনে মুক্তির চেষ্টা চলছে। আশা করি দুই দেশের দর্শক একসঙ্গেই দেখতে পাবেন।
সিনেমাটিতে অপি করিমের চরিত্রের নাম সোমা। মেয়েটি কলকাতার। সে বিবাহিত। স্বামী চাঁদু চরিত্রে আছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। স্বামী আর একমাত্র সন্তানকে নিয়ে সংসার। তবে স্বামী বেকার। এ কারণে সন্তানকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াতে বর্ষীয়ান অভিনেতা পরান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসায় চাকরি করেন সোমা। গণেশ বাবু চরিত্রে ব্রাত্য বসু, বিউটির ভূমিকায় চান্দ্রেয়ী ঘোষ এবং সত্য চরিত্রে আছেন সোহেল রানা। ছবিটির শুটিং হয়েছে ঢাকা ও কলকাতায়।
কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি ছোটগল্প অবলম্বনে ‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন ও পরিচালনা করেছেন ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী। এতে অপি করিম, ঋত্বিক চক্রবর্তী ছাড়াও অভিনয় করেছেন সোহেল মন্ডল, চান্দ্রেয়ী ঘোষ, পরান বন্দোপধ্যায়, ব্র্যাত্য বসু, শাওলি চট্টোপাায়ের মত দুই দেশের তারকা অভিনীত শিল্পীরা।
২০২০ সালে চীনের মর্যাদাসম্পন্ন সাংহাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের এশিয়ান নিউ ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ডের অফিশিয়াল সিলেকশনে সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। ইউরোপিয়ান প্রিমিয়ার হয় মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে।
একই বছর ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় জোগজা-নেটপ্যাক এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ১৫তম আসরে এশিয়ান পারসপেকটিভ বিভাগে আমন্ত্রণ পায় সিনেমাটি। এছাড়া ইতালির রোমে এশিয়াটিকা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ২১তম আসরের প্রতিযোগিতা বিভাগ এনকাউন্টার উইথ এশিয়ান সিনেমায় আমন্ত্রিত হয়ে বেস্ট ফিচার ফিল্ম জুরি অ্যাওয়ার্ড জেতে ‘মায়ার জঞ্জাল’।
জসিম আহমেদের সহযোগী প্রযোজক হিসেবে আছে কলকাতার ফ্লিপবুক। জসিম আহমেদ তিনটি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা পরিচালনা করে দেশ-বিদেশে খ্যাতি পেয়েছেন। এগুলো হল; ‘দাগ’, ‘অ্যা পেয়ার অফ স্যান্ডেল’ ও ‘চকোলেট’।