২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৩:২৭:১৯ অপরাহ্ন


প্রকাশ্যে চালাচ্ছে মাদকের কারবার, কেউ মুখ খুললেই মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দেয়!
রাতুল সরকার :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০১-২০২৩
প্রকাশ্যে চালাচ্ছে মাদকের কারবার, কেউ মুখ খুললেই মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দেয়! প্রকাশ্যে চালাচ্ছে মাদকের কারবার, কেউ মুখ খুললেই মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দেয়!


প্রকাশ্যে চালাচ্ছে মাদকের কারবার। আবার কেউ মুখ খুললেই মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দেয় মাদক কারবারি নাসির। সে মাদকের রাজধানী রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার মহিষালবাড়ির চিহ্নিত মাদক কারবারীর নাসির। তার পিতা মোঃ শহিদুল ও তার মা মোসাঃ নুরনাহার। তারা দু’জনই মাদক কারবারি। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মাদক মামলা।

দিন রাত ২৪ ঘন্টাই চলে প্রকাশ্যে তাদের পারিবারিক মাদক কারবার।  স্থানীয়রা জানায়, পুলিশের সাথে নাসিরের সখ্যতা চোখে পড়ার মতো। তাদের ম্যানেজ করেই মাদকের কারবার দাপটের সাথে চালাচ্ছে এই চিহ্নিত মাদককারবারি নাসির। হেরোইন, ইয়াবা, ফেনসিডিলের ডিলার সে। এছাড়াও নিজের বাড়িতেই প্রকাশ্যেই খুচরা মাদক বিক্রি করে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,  গত তিন মাস আগে সাটারিং মিস্ত্রির কাজ করতো নাসির। পাশাপাশি সে রাজশাহী জেলা ডিবি এবং গোদাগাড়ী মডেল থানার সোর্স হিসাবে কাজ করে সে। ফলে অনায়াসে মাদক কারবার চালাতে তার কোন বাধা নেই। এছাড়াও থানার সোর্স হিসেবে কাজ করে মহিষালবাড়ি এলাকার মুওাসিন এবং ৩ নং নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম মুনির। এরা মাদকের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে। কাউন্সিলর মুনির ও মুত্তাসিন উভয়ের নামেও রয়েছে মাদক মামলা। মহিষালবাড়ি এলাকায় সমস্ত মাদককারবারী কাছ থেকে থানা পুলিশের নামে টাকা তুলে তারা। কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে ভয় দেখিয়ে বলে স্যারের কাছের মানুষ আমরা। বেশি কথা বললে মাদক মামলা দিয়ে চালান করিয়ে দিবো।

এ ব্যপারে নাসিরের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

এ ব্যপারে মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ীর মডেল থানার ওসি জানান, পুলিশকে দেয়ার নামে টাকা তোলার বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ কোনো অভিযোগও করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওসি।