২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৩:২২:০৫ পূর্বাহ্ন


বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত সাপের ডিমের ছবি !
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০২-২০২২
বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত সাপের ডিমের ছবি ! বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত সাপের ডিমের ছবি !


বিশ্বের অন্যতম বিষাক্ত সাপের ডিমের ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছেন অস্ট্রেলিয়ার স্নেক ক্যাচার গ্রুপের মালিক শন ক্যাড। তবে একটি কিংবা দুটি নয়, প্রায় ২৩টি ডিমের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পেজে আপলোড করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে শন ক্যাড জানিয়েছেন, ওই ডিমগুলি বিশ্বের দ্বিতীয় বিষাক্ত সাপ ইস্টার্ন ব্রাউন স্নেকের। সম্প্রতি ওই ব্যক্তি মারাত্মক বিষধর ইস্টার্ন ব্রাউন ধরে তাঁর ব্যাগে রেখে দিয়েছিলেন। ওই ব্যাগের মধ্যেই মাত্র কয়েকদিন আগে তিনি ওই ডিমগুলি দেখতে পান।

এ বিষয়ে শন আরও বলেন, জোরালো আলো জ্বালিয়ে ইস্টার্ন ব্রাউনের ডিমগুলি পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। প্রথম অবস্থায় বেশ কিছুটা ভয় পেলেও শেষ পর্যন্ত তিনি লক্ষ্য করেন ডিমগুলি বেশ আশ্চর্যজনক। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, ওই ডিমগুলি অন্যান্য পাখি কিংবা মুরগির ডিমের থেকে অনেক নরম প্রকৃতির। এমনকী, ওই ২৩টি ডিমের মধ্যে ৬টি ডিম ফেটে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

এরপর ডিমগুলি আরও ভালোভাবে খুঁটিয়ে শন দেখেন, ডিমগুলির ভিতরে অতীব সূক্ষ্ম রক্তজালিকা রয়েছে এবং বাইরের আবরণের মধ্যে দিয়েও ভেতরের বিষাক্ত প্রাণীটিকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। ডিমগুলি ফেটে বিষাক্ত প্রাণীর বাচ্চা বেরিয়ে আসার মতো অবস্থায় ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই ডিমগুলি প্রস্ফুটিত হওয়ার জন্য বাতাসের আর্দ্রতার প্রয়োজন ছিল বলে জানিয়েছেন স্নেক ক্যাচার শন ক্যাড।

তবে জেনে রাখা দরকার, ইস্টার্ন ব্রাউন স্নেক বিশ্বের অন্যতম বিষধর প্রাণীর মধ্যে একটি। এই সাপটি মূলত অস্ট্রেলিয়ার জঙ্গলেই দেখা যায় বলে জানিয়েছেন সর্প বিশেষজ্ঞরা। এই সাপ কোনও ব্যক্তিকে কামড়ালে ওই ব্যক্তিকে বাঁচানো প্রায় অসম্ভব বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই সাপের বিষ সরাসরি মানুষের শরীরের রক্তনালীতে প্রভাব সৃষ্টি করে মানুষের দেহের রক্ত চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে সাপ কামড়ানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল থাকে।

তবে এই সাপটি বর্তমানে বিরল প্রজাতির বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সাপটি লম্বায় সাত ফুট পর্যন্ত হতে পারে। তবে সাপ যেমনই হোক না কেন, আপাতত ইস্টার্ন ব্রাউন স্নেকের ডিমের ছবিতেই তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া।

রাজশাহীর সময় / এম জি