২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৩:৩৫:২০ অপরাহ্ন


মহানগরীতে অটোর ভাড়া বৃদ্ধি: সাধারণ যাত্রীরা ক্ষোভ
স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০২-২০২২
মহানগরীতে অটোর ভাড়া বৃদ্ধি: সাধারণ যাত্রীরা ক্ষোভ মহানগরীতে অটোর ভাড়া বৃদ্ধি: সাধারণ যাত্রীরা ক্ষোভ


রাজশাহী মহানগর এলাকায় ভাড়া বেড়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার। নগরীর প্রতিটি রুটে আগের ভাড়ার সঙ্গে তিন টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে বিপাকে পড়ছেন সাধারন যাত্রীরা। 

এক কিলোমিটারের মধ্যে অটোরিকশার সর্বনিম্ন ভাড়া পাঁচ টাকা রাখা হয়েছে। 

গত (১ জানুয়ারি) থেকে এই বাড়তি ভাড়া কার্যকর করেছেন রাজশাহী ইজিবাইক মালিক শ্রমিককল্যাণ সমবায় সমিতির অটোবাইকচালকরা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ যাত্রীরা।

এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর রাজশাহী ইজিবাইক মালিক শ্রমিককল্যাণ সমবায় সমিতি সংবাদ সম্মেলন থেকে করে ১ জানুয়ারি থেকে ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছিলো। সেই অনুযায়ী বছরের প্রথম দিন থেকেই বাড়তি ভাড়া আদায় করছে তারা। এদিকে প্রশাসন ও নগর সংস্থার সিদ্ধান্ত ছাড়াই ভাড়া বাড়ানোর কারণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন সাধারণ যাত্রীরা।

অটোরিকশার চালকেরা পাঁচ টাকার ভাড়া হঠাৎ করে আট টাকা চেয়ে বসায় অনেকেই বাগবিত-ায় জড়িয়ে পড়েছেন। এ সময় চালকেরা ইজিবাইক মালিক শ্রমিককল্যাণ সমবায় সমিতি থেকে তাদের কাছে সরবরাহ করা একটি ভাড়ার তালিকাও দেখাচ্ছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগরী ইজিবাইক মালিক শ্রমিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রিমন হোসেন বলেন, 'এক কিলোমিটারের বেশি রাস্তার জন্য সব রুটে তিন টাকা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এটা খুব বেশি না। তাছাড়া ১০ বছর পর আমরা ভাড়া বাড়িয়েছি। এটা যৌক্তিক।

তিনি আরও বলেন, 'ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে আমরা জেলা প্রশাসক, রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার এবং সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে স্মারকলিপি দিয়েছি। তাদের অনুমতি নিয়েই ভাড়া বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেন এই নেতা।'

তবে ভাড়া বৃদ্ধিকে অযৌক্তিক দাবি করে যাত্রীরা বলছেন, করোনাকালের এমনিতেই সাধারণ মানুষের আয় কমেছে। উপার্জনসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে তাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। আর নগরীর মধ্যে যাতায়াতের অন্যতম প্রধান মাধ্যমই ইজিবাইক। সুতরাং এমনভাবে ভাড়া বাড়ানোটা ঠিক হয়নি।

অটোরিকশা চড়ে নগরীর কাজলা এলাকায় আসছিলেন ন্টাু সরকার ও ফাইসাল কনক। তারা জানান, ব্যবসার কাজে নগরীর সাহেব  যাওয়া-আসা করতে হয়। করোনাকালে এমনিতেই অবস্থা খারাপ। এর মধ্যে ভাড়া বাড়ানোর কারনে নতুন একটা দুর্ভোগ যুক্ত হয়েছে। 

বাড়তি ভাড়া আদায় করতে ইজিবাইকচালকরা যে দুর্ব্যবহার করেন, সেটা কাম্য নয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজ্জাম্মেল চৌধুরী জানান, যাত্রীদের অধিকার নিয়ে কাজ করবে এমন সংগঠন তেমন না থাকায় যাত্রীরা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আর ভাড়া বৃদ্ধির এমন বিষয় নতুন নয়। সাধারণ যাত্রীদের স্বার্থ সুরক্ষায় প্রশাসনকে এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। একইসঙ্গে যাত্রীদের আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর-ঈ-সাঈদ বলেন, 'ইজিবাইক মালিক-শ্রমিক সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে একটা স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে আলোচনা ছাড়া তো আমরা কোনও সিদ্ধান্ত দিতে পারি না। সবার সঙ্গে সমম্নয় করেই ভাড়া নির্ধারণ করা উচিত। কিন্তু এমন কিছুই হয়নি।

এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত কমিশনার (সদর) রুহুল কুদ্দুস বলেন, 'ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। তিনি আরও বলেন, 'যদি বাড়তি ভাড়া আদায় করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়, তাহলে অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

রাজশাহীর সময় / এম জি