পুলিশ পরিচয় দিয়ে ঘরে ঢুকে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুন করল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার হরিহরপাড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মৃতের নাম এশাদুল মণ্ডল। হরিহরপাড়ার থানা এলাকার মালোপাড়ায় বাসিন্দা তিনি।
মৃতের পুত্রবধূ জহুরা বিবি’র অভিযোগ, গভীর রাতে শ্বশুর এশাদুল বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন। বাড়ির দরজা বন্ধ ছিল। সেই সময় পুলিশ পরিচয় দিয়ে কয়েকজন বাইরে থেকে তাঁর শ্বশুরের নাম ধরে ডাকে। শাশুড়ি দরজা খুলে দিলে ঘরে ভিতরে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরা ঘুমন্ত শ্বশুরের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এলোপাথাড়িভাবে তাঁকে কোপাতে থাকে। বাড়ির লোকেদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
জহুরার আরও অভিযোগ, এর আগে তাঁর স্বামীর উপরেও হামলা চালিয়েছিল এলাকায় চার মাতব্বর রিন্টু, পিন্টু, বাবু ও মৌলা। এবারও তারাই শ্বশুরের উপর হামলা চালিয়েছে। শুধু তাই নয় তাঁদের বিরুদ্ধে লালটু নামে একজনকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ রয়েছে।
একই কথা জানিয়েছেন, মৃত ব্যক্তির স্ত্রী জাহানারা বিবিও। তাঁর অভিযোগ, কয়েকবছর আগে ছেলেকে পঞ্চায়েত থেকে নদীর পার বাঁধানোর কাজ দেওয়া হয়। সেই আক্রোশে ছেলের উপর হামলা চালিয়ে ছিল ওই চারজন। এরপর চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁরা। আদালতে মামলা চলছে। কয়েকদিন আগে ওই চারজন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেয়। তাতে রাজি হয়নি ছেলে।
জাহানারা আরও জানান, অভিযুক্ত এই চারজন আগে কংগ্রেস কর্মী হিসাবে এলাকায় পরিচিত ছিল। কয়েকদিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছে।
গোটা ঘটনার তদন্ত শুধু করছে পুলিশ। এবিষয়ে তৃণমূলের মূর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি শামসুজ্জোহা বিশ্বাস জানান, এশাদুল মণ্ডল ও তাঁর ছেলে তৃণমূলের বহুদিনের কর্মী। এই হামলার ঘটনার পিছনে বিরোধীদের হাত রয়েছে। ওই এলাকায় কংগ্রেস বিরোধী দল হিসাবে শক্তিশালী। তাঁদের এই ঘটনা পিছনে হাত থাকতে পারে বলে শামসুজ্জোহা বিশ্বাসের মত।