১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৩:২৪:১৫ পূর্বাহ্ন


পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলা, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০১-২০২৩
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলা, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু ছবি- রাজশাহীর সময়


চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলার শিকার আহত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ১৮ দিন ধরে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শনিবার (০৭ জানুয়ারী) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। 

নিহত ব্যক্তি গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের মিরাপুর বটতলা গ্রামের মৃত উসমান আলীর ছেলে মো. বশির (৪৫)। ঘটনার পরদিন (২১ ডিসেম্বর) গোমস্তাপুর থানায় মো. আজিবুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, গত ২০ ডিসেম্বর জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত বশির তার ভাই ও ভাগনেসহ কয়েকজন মিলে জমিতে চাষাবাদ করতে পাওয়ার টিলারে করে যাচ্ছিলেন। এসময় লক্ষীপুর ডুমুর পুকুর এলাকায় তাদের উপর হামলা হয়। এতে গুরুতর আহত হয় বশিরসহ আরো ৫ জন । স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্বার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। 

অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বশির, তার ভাই আলাউদ্দিন ও ভাগনে আজিবুরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে ১৮ দিন ধরে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে বশিরের মৃত্যু হয়।

নিহত বশিরের নাতি নাদিম আলী বলেন, হামলায় আমার নানা গুরুতর আহত হয়েছিলো। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি জখম করা হয়। আজ (শনিবার) নানা মারা গেছে। মরদেহ এখন (শনিবার রাত) রামেক হাসপাতালেই রয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, নানার উপর হামলার দিন আমিও হামলার শিকার হয়েছিলাম। আমাকে বেধড়ক পিটিয়েছিলো তারা। রহনপুর ইউনিয়নের কাজিগ্রাম এলাকার মৃত মোকবুল হোসেনের ৪ ছেলে  মেহেদী, আসগার, ভুটু, বেলাল, মৃত মোজাম্মেলের ছেলে সাইফুল, আসাবুল, মৃত রুপচানের ছেলে মিটু, রফিকসহ তাদের ২৫-৩০ জনের সশস্ত্র দলের হামলায় নিঃস্ব হয়ে গেছে আমাদের পরিবার। তাদেরকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আশা করি, এর সুষ্ঠ বিচার পাব। 

গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, বশিরের মরদেহ রামেক হাসপাতালেই রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। হামলার ঘটনার পরদিনই থানায় মামলা হয়েছে। এবিষয়ে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।