২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৩:১৬:৫৭ অপরাহ্ন


রাজশাহী মহানগরীতে রাবি শিক্ষার্থী উদ্ধার; ৫ অপহরণকারী গ্রেফতার
মাসুদ রানা রাব্বানী
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০১-২০২৩
রাজশাহী মহানগরীতে রাবি শিক্ষার্থী উদ্ধার; ৫ অপহরণকারী গ্রেফতার রাজশাহী মহানগরীতে রাবি শিক্ষার্থী উদ্ধার; ৫ অপহরণকারী গ্রেফতার


রাজশাহী মহানগরীরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে অর্থ আদায়ের অভিযোগে ৫ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম কোর্ট স্টেশন মোড়ের জামিল চত্ত্বর এলাকা হতে তাকে অপহরণ করে অপহরণকারীরা।

পরে গোপন সংবাদের মাধ্যমে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৫ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত অপহরণকারীরা হলো: মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার রানীনগর হিন্দুপাড়ার শ্রী ইন্দ্রজিৎ সরকারের ছেলে পবন সরকার উদয় (১৯), রাজপাড়া থানার হড়গ্রাম বাজার এলাকার মৃত সাইদুল ইসলামের ছেলে মোঃ দাউদ ইব্রাহিম সাফি (২২), একই এলাকার মৃত সুরে জামাল শেখের ছেলে মোঃ পলাশ কবির (২৬), কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম পালপাড়ার শ্রী হরেন্দ্রনাথ পালের ছেলে প্রবীন পাল রুদ্র (২০) ও একই এলাকার মোঃ শামসুর রহমান বাদলের ছেলে ওয়াহিদুর রহমান নুর (২০)।

শনিবার বিকাল ৪টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ রফিকুল আলম।

তিনি জানান, রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার চান্দলাই গ্রামের মৃত অসীম কুমার বর্মনের ছেলে রাতুল কুমার বর্মন। সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রা:বি) চারুকলা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। রাতুলের সাথে আসামি পবন সরকারের মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। 

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় পবন সরকার মোবাইল ফোনে রাতুলকে কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম কোর্ট স্টেশন মোড়ের জামিল চত্ত্বরে আসতে বলে। রাতুল সেখানে গিয়ে তার ছোট ভাই দিবাকর বর্মনের মেসে থাকা নিয়ে পবনের সাথে কথা বলে। কথা শেষ করে রাতুল সেখান থেকে যেতে চাইলে পবনের অপর সহযোগী দাউদ ইব্রাহিম ও পলাশ তাকে অপহরণ করে হড়গ্রাম বাজারে আসামি দাউদ ইব্রাহিমের একতলা বিল্ডিংয়ের নিচতলায় একটি রুমে আটকিয়ে রাখে এবং মারধর করে।

এদিন রাত ৯টায় আসামিরা রাতুলের মোবাইল ফোন থেকে তার মায়ের মোবাইল ফোনে কল করে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। রাতুলের মা বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা পাঠায়। আসামিরা অবশিষ্ট টাকার জন্য রাতুলকে মেরে জখম করে। রাতুল আসামিদের সাথে ধ্বস্তাধস্তি করে এক পর্যায়ে ঘরের বাইরে আসে এবং চিৎকার শুরু করে। আসামিরা বাহিরে রাতুলকে আবার ধরে ঘরে নিয়ে আটক রেখে মারপিট করতে থাকে।

এমন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে কাশিয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মশিউর রহমানের নেতৃত্বে এসআই জীবন চন্দ্র বর্মন ও সঙ্গীয় ফোর্স রাত সাড়ে ১০টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ৫ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেন এবং রাতুলকে উদ্ধার করে রামেকে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শনিবার সকালে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।