১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৫:০৭:০৩ অপরাহ্ন


চাকরির অনিশ্চয়তায় আতঙ্ক কাজ করছে রেলওয়ের ৬হাজার ৮২৯ জন অস্থায়ী শ্রমিক
মঈন উদ্দিন
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০১-২০২৩
চাকরির অনিশ্চয়তায় আতঙ্ক কাজ করছে রেলওয়ের ৬হাজার ৮২৯ জন অস্থায়ী শ্রমিক ফাইল ফটো


পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে ৬ হাজার ৮২৯ জন বাংলাদেশ রেলওয়ের অস্থায়ী (টিএলআর) শ্রমিক কাজ করেন। এর মধ্যে পশ্চিম রেলওয়ের পাকশী আর লালমনিরহাট বিভাগে প্রায় দুই হাজার ৫০০ শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের টিএলআর শ্রমিকদের ৩১ ডিসেম্বও চাকরির শেষ দিন ছিল। তবে দিনটির আগে-পরে শ্রমিকদের কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এমন অবস্থায় ৩১ ডিসেম্বর পার হলেও নিজেদের কর্ম নিয়ে সন্দিহানে রয়েছেন সব টিএলআর শ্রমিকরা। তাদের মধ্যে চাকরি থাকা না থাকা নিয়েও আতঙ্ক কাজ করছে। কারণ তাদের মধ্যে অনেকেরই বয়স বেড়েছে। এর মধ্যে গেল ৩ মাসের বেতন এখনও হাতে পাননি এ শ্রমিকেরা।

শ্রমিকদের দাবি, তারা নিজ নিজ কর্মস্থলেই কাজ করতে চান। তাদের অনেকেরই পরিবার-পরিজন রয়েছে। এ বয়সে চাকরি হারালে জীবন-জীবিকা নিয়ে সমস্যায় পড়ে যেতে হবে। যদি রেলওয়ের শ্রমিক সঙ্কট থাকে, তাহলে লোকবল নেওয়া হোক। কিন্তু তাদের (টিএলআর) যেন ছাটাই না করা হয়।  

এদিকে টিএলআর শ্রমিক মিথুন জানান, আমাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। আমরা নিজ নিজ কর্মস্থলে কাজ করছি। এখনও বলা যাচ্ছে না আমাদের ভাগ্যে কি আছে! শুনেছি আমাদের বিষয়ে মিটিং হচ্ছে। কিন্তু কোনো ফলাফল এখনও শুনতে পাইনি।  

তিনি আরো বলেন, আগে শুনেছিলাম ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের চাকরি রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমাদের কোনো অফিসার কিছু বলেননি। আমরা নিজ নিজ কর্মস্থলেই কর্মরত রয়েছি। নিয়মিত কাজ করছি। দেখা যাক কি হয়।

বাংলাদেশ রেলওয়ে টিএলআর শ্রমিক পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুর রহমান বলেন, পশ্চিম রেলওয়ের শুধু পাকশীতে এক হাজারের বেশি টিএলআর শ্রমিক কাজ করে। এর মধ্যে পাকশী ও লালমনিরহাট বিভাগ মিলে প্রায় দুই হাজার ৫০০ শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। তাদের চাকরির মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের কিছুই জানানো হয়নি।

তিনি আরো বলেন, আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কিছু বলা হয়নি। তাই আমরা স্ব-স্ব কর্মস্থলেই কর্মরত রয়েছি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আমরা লালমনিরহাট, পাকশী, চট্টগ্রাম ও ঢাকা ডিআরএম (ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার)-এর সাথে দেখা করবো। তাদের সাথে টিএলআর শ্রমিকদের বিষয়ে কথা বলবো। এরপরে আমরা রেলওয়ের ডিজির সাথে দেখা করবো।