২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৭:১৯:০১ অপরাহ্ন


রাজশাহী রেলস্টেশনে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা
ইব্রাহিম হোসেন সম্রাট:
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-১২-২০২২
রাজশাহী রেলস্টেশনে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা ফাইল ফটো


বাংলাদেশে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে প্রথমবারের মতো চালু করা হয়েছে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য পৃথক টিকিট কাউন্টার ও বিশ্রামাগার। 

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকালে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য এসব সুবিধা চালু  করেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার। 

রাজশাহীর প্রবীণ নাগরিকরা তাদের জন্য পৃথক টিকিট কাউন্টার ও বিশ্রামাগার চালুর দাবিতে কিছু দিন আগে কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। 

রাজশাহীর প্রবীণ নাগরিকদের ওই স্মারকলিপিতে জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা-২০১৩ অনুযায়ী সিনিয়র সিটিজেন বা প্রবীণদের জন্য সব প্রকার যানবাহনে ছাড়মূল্যে টিকিট প্রদানসহ ভ্রমণের জন্য পৃথক টিকিট কাউন্টারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি করা হয়েছিল। জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা বাস্তবায়ন দাবি আদায় কমিটি এ ব্যাপারে কার্যক্রম গ্রহণের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। সেই দাবিগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম অসীম কুমার তালুকদার বৃহস্পতিবার রাজশাহী স্টেশনে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য পৃথক টিকিট কাউন্টার ও বিশ্রামাগার উদ্বোধন করেন। 

এদিকে এখন থেকে প্রবীণ নাগরিকরা স্টেশনের ৭নং কাউন্টার থেকে তাদের এনআইডি প্রদর্শন করে অতিসহজে যে কোনো ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। একই সঙ্গে মহাব্যবস্থাপক প্রবীণদের জন্য দুটি ১০ আসনের পরিবেশবান্ধব চেয়ার স্থাপন করে একটি বিশ্রামাগারও চালু করেন। 

জিএম অসীম কুমার তালুকদার বলেন, প্রবীণ নাগরিকরা অনেক দিন ধরেই তাদের জন্য একটি পৃথক টিকিট কাউন্টার ও পৃথক বিশ্রামাগার চালুর দাবি করে আসছিলেন। সেটি আজ চালু করা হলো। এখন থেকে প্রবীণ নাগরিকরা কোনো ঝামেলা ছাড়াই ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। আবার অপেক্ষার জন্য পৃথক বিশ্রামাগারে অপেক্ষা করতে পারবেন। 

প্রবীণ কাউন্টার ও বিশ্রামাগার উদ্বোধনের সময় জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা বাস্তবায়ন দাবি আদায় কমিটির পক্ষে যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী খায়রুল ইসলাম, সদস্য সচিব ইঞ্জি. একেএম খাদেমুল ইসলাম ফিকশন, আহমেদ সফিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর রাজ্জাক, ইঞ্জি. আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু, নাজমুল আবেদীন টুবলু এবং স্টেশন ম্যানেজারসহ রেলের ঊর্ধ্বতন কমকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো রাজশাহীতে এমন একটা মহতী কাজ করার জন্য প্রবীণদের পক্ষ থেকে পশ্চিম রেলের মহাব্যবস্থাপক ইঞ্জি. অসীম কুমার তালুকদারকে আন্তরিক ধন্যবাদসহ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।