২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৫:৩৪:৫২ অপরাহ্ন


ট্রেনের দেরিতে শিক্ষক হবা স্বপ্ন ভেঙেছে শতাধিক চাকরিপ্রার্থীর
ইব্রাহিম হোসেন সম্রাট:
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-১২-২০২২
ট্রেনের দেরিতে শিক্ষক হবা স্বপ্ন ভেঙেছে শতাধিক চাকরিপ্রার্থীর চিত্র ধারণ- মো: পারভেজ ইসলাম


রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ৪ ঘণ্টা দেরিতে ট্রেন আসায় ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দিতে পারেননি শতাধিক চাকরিপ্রার্থী। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা (স্কুল সমপর্যায়) অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষক হবার আশায় গত একবছর পড়াশুনার পর বৃহস্পতিবার রাতে ট্রেনে করে ঢাকা থেকে রাজশাহীতে পরীক্ষা দিতে আসছিলেন আব্দুর রহমান। কিন্তু সেই স্বপ্নে আর পূরণ হলো না।রাজশাহীতে ৪ ঘণ্টা দেরিতে ট্রেন পৌঁছানোর কারণে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি তিনি।

আব্দুর রহমান বলেন, অনেক কষ্ট করে শিক্ষক হবার আশায় পড়াশুনা করেছি। একবছর পর আজ পরীক্ষা দিতে এসেছিলাম। ভেবেছিলাম এবার শিক্ষক হবো। কিন্তু কপালে নেই, কি আর করার। এর আগে ঢাকা থেকে এসে সময়মতো পরীক্ষা দিয়েছি। কিন্তু আজ ট্রেন ৪ ঘণ্টা দেরিতে এসেছে। স্টেশনে নামার আগেই পরীক্ষা শুরু হয়েছে। অনেকেই বললো কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে না। আমার মন মানলো না। তারপরও আসলাম। রাজশাহী রেল স্টেশন থেকে অটোরিকশায় আসতে ১০ মিনিট সময় লেগেছে। দ্রুত গতিতে আসার পরেও পরীক্ষা দিতে পারলাম না।

শুধু আব্দুর রহমানই নয় ট্রেন দেরিতে আসায় এই দিন রকিবুল হক, রুহি আর নাদীম হোসেন পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে নি আরও অনেকেই। তারা বসে ছিলেন টিচার্স ট্রেনিং কলেজের বারান্দায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন গতকাল ৪ ঘণ্টা দেরিতে রাজশাহী পৌঁছেছে। ট্রেনের দেরিতেই শিক্ষক হবা স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে শতাধিক চাকরিপ্রার্থীর।

মো: আনিসুর ইসলাম নামের এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ট্রেন দেরিতে আসায় কেন্দ্রে আসার আগেই পরীক্ষার শুরু হয়েছে। তাই কেন্দ্রে প্রবেশ করিনি। ট্রেন দেরি করলে তো আর কিছু করার নেই। ট্রেনে অনেক যাত্রী ছিল, তারা পরীক্ষার্থী। আজ পরীক্ষা দিতে পারলাম না। শনিবার আবার পরীক্ষা আছে, সেই পরীক্ষা দিব।

পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন আসার কথা ছিল সকাল ৬টার আগে। কিন্তু সেই ট্রেন এসেছে প্রায় ১০টার দিকে। ট্রেনটি ঢাকা থেকে দেরিতে ছেড়েছে। পাশাপাশি ঢাকা থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত তৃতীয় ও চতুর্থ লাইনের কাজ চলছে। আগে এটি অটোমেটিক সিগনালের কাজ করতো। এখন এটি মেনুয়ালি করতে হচ্ছে। ডাবল লাইন সংযোগ দিতে হচ্ছে। এই করণেই মূলত দেরি হচ্ছে। তবে রাজশাহী থেকে সঠিক সময়ে সিল্কসিটি, বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে গেছে।
তবে দেরিতে ট্রেন আসায় তিনি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি এই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।