২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৭:৪০:১৭ অপরাহ্ন


নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দুই মেরুতে আ. লীগ-বিএনপি
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-১২-২০২২
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দুই মেরুতে আ. লীগ-বিএনপি ফাইল ফটো


দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বাকি এক বছর। এখন পর্যন্ত নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দুই মেরুতে দেশের বড় দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।

দুই মাস বিভাগীয় সমাবেশ শেষে মাঠের আন্দোলন জোরদারের অংশ হিসেবে সংসদ থেকেও পদত্যাগ করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা। সমমনা ৩৬টি দল নিয়ে যুগপৎ কর্মসূচি দিয়ে সরকারকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে বিএনপি। যদিও মহাসচিবসহ দলের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা জেলে।

এদিকে সরকারবিরোধী আন্দোলন মোকাবিলা ও নির্বাচন নিয়ে জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে সাংগঠনিক প্রস্তুতি সেরেছে ক্ষমতাসীন দল।

বিএনপির প্রতি সহানুভূতিশীল ব্যক্তিরা মনে করেন সরকারের প্রতি জনগণের ক্ষোভ রয়েছে। চলমান আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারলে সুফল পাবে দলটি। আবার কেউ বলছেন, অতীত কর্মকাণ্ডে জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি। তাদের আন্দোলন জনগণের মাঝে কতটা সাড়া জাগাতে পারবে সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।

সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত। বিএনপির প্রতি মানুষের কতটুকু ভক্তি আছে জানি না, তবে সরকারের প্রতি যে ক্ষোভ আছে সেটাই ১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশে দেখা গেছে।’  

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের পর প্রথমে সংসদে না যাওয়ার ঘোষণা, তারপর শপথ নেয়া, এখন আবার পদত্যাগ - সব মিলিয়ে সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্তের কারণে ১০ ডিসেম্বর কৌশলগত পরাজয় হয়েছে বিএনপির।

তারেক জিয়া চলে আসবেন, খালেদা জিয়া বক্তব্য দেবেন - বিএনপি নেতারা এসব কথা খুব চিন্তা করে বলেছেন বলে মনে করেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষক আবু আলম মো. শহীদ খান। তিনি বলেন, ‘এসব বক্তব্য দিয়ে বিএনপি নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে এনেছেন। শেষ পর্যন্ত গোলাপবাগে যেতে হয়েছে। এখন হয়তো নেতারা চিন্তা করছেন উত্তপ্ত বক্তব্য দেয়া ঠিক হয়নি।’

শহীদ খান বলেন, বিএনপি সামনে আরও কর্মসূচি দেবে। সেখানে তারা কতটা জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারে তার ওপরই নির্ভর করবে তাদের আন্দোলন কতটা সফল হবে।

১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ নিয়ে উত্তাপ ছিল। এবার দলটির ৩০ ডিসেম্বরের গণমিছিল নিয়ে উত্তাপ ছড়াচ্ছে রাজনীতিতে।