নিজের জীবন থাকতে দেশের স্বার্থ কারও কাছে বিলিয়ে দেবেন না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সরকারের ধারাবাহিকতার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব হয়েছে। দেশের স্বার্থ কারও কাছে বিলিয়ে দেয়া হবে না।’
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী সরকার দেশের উন্নয়নে কাজ করছে। দেশকে বিদ্যুতের স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। দুর্নীতি করে টাকা বানাতে ক্ষমতায় আসেনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার।
তিনি বলেন, ভোট দেয়ার অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার আওয়ামী লীগই নিশ্চিত করেছে। আওয়ামী লীগের স্লোগান ছিল- আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। আমরা নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিয়েছি। আর্থিক সক্ষমতা তাদের হাতে দিয়ে দিয়েছি। তারা যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, সেই সুযোগ করে দিয়েছি। সবাইকে ভোটার আইডি কার্ড করে দিয়েছি। নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন-২০২২ করে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের যদি ভোট চুরির নিয়ত থাকত, তা হলে তো খালেদা জিয়ার মতো আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন করতে পারতাম। আমরা সেটা করি নাই। আওয়ামী লীগ কখনো নির্বাচন কমিশনে হস্তক্ষেপ করেনি। কেননা আমরা ভোটে বিশ্বাসী।
সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।
এর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। গাওয়া হয় জাতীয় সংগীত। পায়রা ওড়ানোর পর বেলুন উড়িয়ে শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।
সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলন মঞ্চে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগপ্রধান।