২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৩:৫০:১৯ অপরাহ্ন


প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চন্দ্রিমা এলাকায় নাবালিকাকে অপহরণ, ১২দিন পর উদ্ধার
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-১২-২০২২
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চন্দ্রিমা এলাকায় নাবালিকাকে অপহরণ, ১২দিন পর উদ্ধার প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নাবালিকাকে অপহরণ, ১২দিন পর উদ্ধার


রাজশাহী মহানগরীতে অপহরণের ১২ দিন পরে এক নাবালিকাকে (১৪) উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে নগরীর চন্দ্রিমা থানাধিন খড়খড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। 

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে নগরীর চন্দ্রিমা থানাধিন কেচুয়াতৈল এলাকা থেকে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে চন্দ্রিমা থানার এসআই মোঃ এসআই ওয়াহিদুর রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্স। 

এর আগে, চলতি মাসের (৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বার্ষিক পরিক্ষা দিতে বাড়ি থেকে স্কুলে যায় ওই ছাত্রী। 

পরিক্ষা শেষে দুপুর দেড়টায় স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরার পথে জোরপূর্বক ৪জন যুবক ছাত্রীকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। 

এ ঘটনায় (১৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় স্কুল ছাত্রীর বাবা মোঃ সেন্টু মিয়া বাদী হয়ে চন্দ্রিমা থানায় ২০০০সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সং/০৩ এর ৭/৩০ ধারায়) অপরহণ ও সহায়তা করার অপরাধে অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ৪জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রধান আসামী চন্দ্রিমা থানাধীন কেচুয়াতৈল গ্রামের মোঃ সাইদুল ইসলামের ছেলে মোঃ সোহাগ (৩৫), তার ভাই মোঃ শফিকুল ইসলাম (৪৫), একই থানার বড়-বনগ্রাম এলাকার মৃত যুগলের ছেলে মোঃ এজাজুল ইসলাম (৪৫) ও একই গ্রামের মোঃ কামাল হোসেনের ছেলে মোঃ শাফিন (২০)।

ছাত্রীর পিতা সেন্টু জানায়, স্কুলে যাতায়াতের পথে দীর্ঘ দিন যাবৎ মামলার প্রধান আসামী মোঃ সোহাগ আমার মেয়েকে (১৪) উত্ত্যক্ত করতো এবং প্রেমের প্রস্তাব দিত। তার কথায় রাজি না হওয়ায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সোহাগ ও তার তিন সহযোগী আমার মেয়েকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। 

জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চন্দ্রিমা থানার এসআই মোঃ এসআই ওয়াহিদুর রহমান জানান, চলতি মাসের (৮ ডিসেম্বর) পরিক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে স্কুল ছাত্রী (১৪) অপহরণের ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে চন্দ্রিমা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর চন্দ্রিমা থানাধিন কেচুয়াতৈল এলাকা থেকে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। 

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বিজ্ঞ আদালতে ওই ছাত্রীর জবানবন্দী রেকর্ড করা হবে। 

এরপর তার শারীরিক পরিক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ রামেক হাসপাতালে (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস) ওসিসি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হবে।

তিনি আরও বলেন, স্কুল ছাত্রীকে অপহরণকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। শিঘ্রই আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।