মৃত্যু সুনিশ্চিত। প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ নিতে হবে। এ জন্য মৃত্যু আসার আগে নেক আমল করার বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা কোরআনুল কারিমে মানুষকে উপদেশ দিয়েছেন। আবার মৃত্যু এসে গেলে তারা আমল-ইবাদত করার আগ্রহ প্রকাশ করবে তাও উল্লেখ করেছেন। যাতে মানুষ সঠিক পথে পরিচালিত হয়। তারপরও মানুষ ভুল করে। আল্লাহর হুকুমগুলো বেমালুম ভুলে যায়। মৃত্যু এসে গেলে আমল করার আফসোস কোরআনে এভাবে ওঠে এসেছে-
وَ اَنۡفِقُوۡا مِنۡ مَّا رَزَقۡنٰکُمۡ مِّنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّاۡتِیَ اَحَدَکُمُ الۡمَوۡتُ فَیَقُوۡلَ رَبِّ لَوۡ لَاۤ اَخَّرۡتَنِیۡۤ اِلٰۤی اَجَلٍ قَرِیۡبٍ ۙ فَاَصَّدَّقَ وَ اَکُنۡ مِّنَ الصّٰلِحِیۡنَ
‘আর আমরা তোমাদের যে রিজিক দিয়েছি তোমরা তা থেকে ব্যয় করবে তোমাদের কারও মৃত্যু আসার আগে। (অন্যথায় মৃত্যু আসলে সে বলবে,) হে আমার রব! আমাকে আরো কিছু কালের জন্য অবকাশ দিলে আমি সাদকাহ দিতাম এবং সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত হতাম! (সুরা মুনাফিকুন : আয়াত ১০)
এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলো, কোন সদকায় সর্বাধিক সওয়াব পাওয়া যায়? তিনি বললেন, ‘যে সদকা সুস্থ অবস্থায় এবং ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ্য করে- অর্থ ব্যয় করে ফেললে নিজেই দরিদ্র হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকা অবস্থায় করা হয়।’
তিনি আরও বললেন, ‘আল্লাহর পথে ব্যয় করাকে সেই সময় পর্যন্ত বিলম্বিত করো না। যখন আত্মা তোমার কণ্ঠনালীতে এসে যায় এবং তুমি মরতে থাক আর বলঃ এই পরিমাণ অর্থ অমুককে দিয়ে দাও, এই পরিমাণ অর্থ অমুক কাজে ব্যয় করা।’ (বুখারি ১৩৫৩, মুসলিম ১০৩২, মুসনাদে আহমাদ ১/৩৯৬)
সুতরাং আফসোস করার সময় তথা মৃত্যু এসে গেলে সদকা করার চেয়ে সুস্থ ও ভালো থাকা অবস্থায় এ কাজগুলো করা উত্তম। ফলে মৃত্যুর সময় আর দান-সদকা ও আমল নিয়ে আফসোস করতে হবে না।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সময় মতো সব আমল ইবাদতে নিজেদের নিয়োজিত রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।