নাটোরের সিংড়া থানার পরিত্যক্ত জায়গায় বিভিন্ন রকম সবজি চাষ করা হচ্ছে। এতে করে চাহিদা মিটছে পুলিশের। ওসি মো. মিজানুর রহমানের উদ্যোগে বিভিন্ন রকম সবজি চাষ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের এক খন্ড জমিও যেন অনাবাদী না থাকে। ফসল উৎপাদনে বেশি নজর দিতে হবে। যারা ঘরে বসে আছেন ছাদে বাগান করুন, জমি থাকলে গাছ লাগানোর কাজ আপনারা নির্বিঘ্নে করতে পারেন।’ এরই পরিপ্রেক্ষিতে থানা চত্বরে পরিত্যক্ত জায়গা পরিষ্কার করে চাষ করা হয়েছে নানা ধরনের সবজি। যেন সবুজের সমারোহ। এখানকার আবাদকৃত শাক-সবজি ক্ষেত থেকে তুলে থানার অফিসার ও ফোর্সসহ সবাই পরিবারের অনেকটা চাহিদা পূরণ করছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, থানা চত্বরে প্রায় ৫ শতাংশ পরিত্যক্ত জায়গায় সুসজ্জিত একটি সবজির ক্ষেত। এখানে ফুলকপি, বাঁধাকপি, সবুজশাক, লালশাক, মূলাশাক, বেগুন, রসুন, পেঁয়াজ, টমেটো ও শসাসহ বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করা হয়েছে। এছাড়া আমগাছ ও জাম্বুরা গাছও লাগানো হয়েছে।
সবজি বাগানের সার্বিক পরিচর্যা ও দেখভালের দায়িত্বে আছেন থানার মুন্সি মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশমতে সবজি বাগান করেছি। খুবই ভালো লাগে বাগান দেখে। এখানে উৎপাদিত সবজি আমাদের চাহিদা পূরণ করছে।
সিংড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. এমরান আলী রানা থানা চত্বরে সবজির বাগান করার বিষয়ে তিনি বলেন, থানার চারিদিকে বিভিন্ন রকম শাক সবজির চাষ করা দেখে খুব ভালো লাগলো। কেননা যেসব জায়গায় সবজির বাগান করা হয়েছে আগে তো অনেক নোংরা ছিল সেখানে। সবজি চাষ করার কারণে থানার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
সিংড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে।’ প্রধানমন্ত্রীর ওই নির্দেশনা বাস্তবায়নে থানার পতিত জায়গায় সবজির বাগান করতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় থানার চারিদিকে বিভিন্ন রকম শাক-সবজি চাষ করেছি। এক সবজি উঠার পরেই আবার নতুন করে সবজি চাষ করা হয়। থানার আরও পরিত্যক্ত জায়গায় ফুলের বাগান ও পুকুরে মাছ চাষ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সেলিম রেজা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনাবাদী জমিতে সবজি চাষ করতে হবে। সে লক্ষে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। থানা চত্বরে সবজি চাষ, এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। কৃষি বিভাগ থেকে তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি অফিস প্রাঙ্গণ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিণায় সবজি চাষাবাদের জন্য কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।