১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১১:১৯:৫৪ পূর্বাহ্ন


বগুড়ায় বিজয় দিবসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের হাতাহাতি
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-১২-২০২২
বগুড়ায় বিজয় দিবসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের হাতাহাতি বগুড়ায় বিজয় দিবসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের হাতাহাতি


বগুড়ায় বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া-পালটাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে আজ শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে এই ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও শহরের সাতমাথা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক দফা সাতমাথা এলাকায় উভয় পক্ষ মিছিল-পাল্টামিছিল করে।  

দলীয় সূত্র জানায়, গত ৭ নভেম্বর বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পর থেকেই বিরোধ শুরু হয়।

ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিতরা আন্দোলন শুরু করে। দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে পদবঞ্চিতরা আন্দোলন শুরু করায় নবগঠিত কমিটি কার্যালয়ে ঢুকতে পারেনি। সর্বশেষ গত ১৪ ডিসেম্বর সকালে পুলিশ প্রহরায় দলীয় কার্যালয়ে যায় নবগঠিত কমিটি। আন্দোলনকারি নেতাকর্মীদের এক পাশে হটিয়ে দিয়ে ওই দিন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচিতে নতুন কমিটি অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেয় পুলিশ। আজ সকালে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচিতেও নবগঠিত কমিটির নেতারা অংশ নিতে দলীয় কার্যালয়ে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সব সহযোগী সংগঠনের নেতারা জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য কার্যালয়ের সামনে সমবেত হন। সকাল ৮টার দিকে পতাকা উত্তোলনের পরপরই সেখানে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে নতুন কমিটির ধাক্কাধাক্কি থেকে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তাদের অনুসারীদের ধাওয়া করে।  

পরে কার্যালয়ের সামনে থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও  সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে একটি মিছিল সাতমাথা চত্বরে গেলে নতুন কমিটির নেতারা ওই মিছিলের সঙ্গে যোগ দেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা দলীয় কার্যালয়ে ফিরে যান। পরে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করে সাতমাথা এলাকায় ঘুরে দলীয় কার্যালয়ে ফিরে যান। এভাবে মিছিল-পাল্টামিছিলে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শেষে দলীয় কার্যালয়ে শুধু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য দিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচি সমাপ্ত করেন।

হাতাহাতি ও ধাওয়ার ঘটনায় বক্তব্য জানতে চাইলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের কেউ তাৎক্ষণিক কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম জানান, বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালনকালে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হলেও পরে তা নিরসন হয়েছে। সেখানে কোনো সহিংস ঘটনা ঘটেনি বলে জানান ওসি।