২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০২:৪২:৪৪ পূর্বাহ্ন


১৫০ রানে শেষ ইনিংস, ফলোঅন না করিয়ে ব্যাটিংয়ে ভারত
ক্রীড়া ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-১২-২০২২
১৫০ রানে শেষ ইনিংস, ফলোঅন না করিয়ে ব্যাটিংয়ে ভারত ফাইল ফটো


চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে ভারতের বিপক্ষে ফলোঅনের শঙ্কা মাথায় নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে দিনের প্রথম সেশনে এক ঘণ্টাও টিকল না বাংলাদেশের ইনিংস। মেহেদী হাসান মিরাজকে বিদায় করে স্বাগতিকদের ১৫০ রানে থামিয়ে দিলেন আকসার প্যাটেল। আউট হওয়ার আগে ২৫ রান করেন এই অলরাউন্ডার। এর আগে ফিরে যান এবাদত। কুলদীপ যাদবের বলে আউট হওয়ার আগে এবাদত ৩৭ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলেন।

২৫৪ রানের লিড পাওয়া ভারতের সামনে সুযোগ ছিল ফলো অন করানোর। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে উইকেট যেভাবে খারাপের দিকে যাচ্ছে তাতে ঝুঁকি নেওয়ার কোনো প্রয়োজন দেখেনি ভারত। তাই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সফরকারীরা।

সাগরিকায় টেস্টের প্রথম দিনটা ছিল বাংলাদেশের। ভারতের বিপক্ষে এগিয়ে থেকেই দিন শেষ করেছিল টিম টাইগার্স। তবে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে অশ্বিন আর কুলদ্বীপের ব্যাটে ভর করে চারশ' ছাড়ায় সফরকারীদের সংগ্রহ। এরপর বল হাতেও ঝড় তুললেন কুলদ্বীপ আর সিরাজরা। এ দুই বোলারের তোপে শুরুর আগেই যেন শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

উইকেট হারানোর মিছিলে দিন শেষের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা ছিল। তবে মিরাজ আর এবাদতের ব্যাটে কোনোমতে দিন পার করেছে বাংলাদেশ। ৩৫ বল খেলে ১৬ রানে অপরাজিত আছেন মিরাজ। এছাড়া এবাদত ২৭ বল খেলে করেছেন ১৩ রান।

শান্ত যখন ওপেন করতে নামেন তখন যেন ভয় কাজ করে ম্যানেজমেন্ট সমর্থকদের মাঝে। সে ভয়টা বেশিক্ষণ থাকতে দেননি। ইনিংসের প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাক। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পাওয়া রাব্বিও হতাশ করেছেন।

চাপে পড়লেও সহজাত ব্যাট করেছেন লিটন। এ বছর তিন ফরম্যাট মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করা ব্যাটার আউট হয়েছেন ২৪-এ। এরপরেই ২০ রানে অভিষেক ইনিংস থেমেছে জাকিরের।

সবচেয়ে অভিজ্ঞতা দুই তারকা সাকিব ও মুশফিকে আশা টিকে ছিল। তবে কুলদীপকে ডাউন দা উইকেটে গিয়ে যেভাবে উইকেট দিয়ে আসলেন, তাতে শুধু হতাশা-আক্ষেপে বেড়েছে।

সোহান-মুশফিক এর প্রতিরোধ টেকেনি। দুজন ফেরার পর দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলেই অলআউটের শঙ্কা পড়ে বাংলাদেশ দল। তবে দিনটা কোনোমতে শেষ করেছেন মিরাজ ও এবাদত।

এর আগে, প্রথম দিনের শেষটা যেখানে হয়েছিল ঠিক সেখান থেকেই দ্বিতীয় দিনের শুরু করে বাংলাদেশ। আবারও ক্যাচ মিস সেই আইয়ারের। যদিও তিনবার জীবন পেয়েও ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেননি।

স্বীকৃত সব ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দ্রুত ভারতকে অলআউটের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। বাধা হয়ে দাঁড়ান আশউইন ও ইয়াদব। দুজন গড়েন ৮৭ রানের পার্টনারশিপ। ফিফটির দেখা পেয়েছেন আশউইন, ৪০ রান এসেছে ইয়াদবের ব্যাট থেকে।

বাকি ব্যাটসম্যানরা আর ইনিংস বড় করতে না পারলেও সমস্যা হয়নি। ততক্ষণে স্কোরবোর্ডে উঠে গেছে ৪০৪ রান। ৪টা করে উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ও মিরাজ।