২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার, ১১:০৪:০২ পূর্বাহ্ন


চীনকে করোনাবিষয়ক তথ্য সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছেন, ডব্লিউএইচও
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-১২-২০২২
চীনকে করোনাবিষয়ক তথ্য সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছেন, ডব্লিউএইচও চীনকে করোনাবিষয়ক তথ্য সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছেন, ডব্লিউএইচও


আগামী বছর থেকে করোনার জরুরি অবস্থা আর থাকবে না বলে আশা করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রেইসাস। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

ডব্লিউএইচওর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাস বিদায় নেবে না, তবে থাকবে না ভয়াবহতা, থেকে যাবে শ্বাসযন্ত্রের সাধারণ রোগ হিসেবে।

করোনা মহামারি শুরুর পর নানা সংকটে পড়তে হয় বিশ্ববাসীকে। মৃত্যুভয়ে যেমন দিন কেটেছে কোটি কোটি মানুষের, তেমনি লকডাউনে বেড়েছে অর্থনৈতিক সংকট। সবার অপেক্ষা ছিল কবে বিদায় নেবে করোনা। ধীরে ধীরে সংক্রমণ কমে বিশ্ব এখন অনেকটা স্বাভাবিক হলেও মহামারি শুরুর তিন বছর পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনাভাইরাস থেকে যাবে। তবে তা থাকবে শ্বাসযন্ত্রের সাধারণ রোগ হিসেবে। অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগ যেভাবে ব্যবস্থাপনা করা হয়, এই রোগও সেভাবেই ব্যবস্থাপনা করতে হবে।

একই সঙ্গে ডব্লিউএইচও আশা করছে, আগামী বছর থেকে করোনাকে কেন্দ্র করে জরুরি অবস্থা আর থাকবে না। জানুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি কমিটি বৈঠকে বসবে। এতে জরুরি পর্যায়ের সমাপ্তি ঘোষণা করার মানদণ্ড নিয়ে আলোচনা করা হবে। এ ছাড়াও চীনকে করোনাবিষয়ক তথ্য সরবরাহের আহ্বান জানানো হয় ডব্লিউএইচও-র পক্ষ থেকে। করোনা কীভাবে শুরু হয়েছিল, তা জানতে চেয়েছে সংস্থাটি।

সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রেইসাস বলেন, বিশ্বজুড়ে এখন করোনাভাইরাসে মৃত্যু কমেছে। এক বছর আগে করোনায় যত মানুষ মারা যেত, এখন তা এক-পঞ্চমাংশে নেমে এসেছে। তবে এই হার এখনও অনেকটাই বেশি।

তিনি আরও বলেন, ‘গত সপ্তাহে ১০ হাজারেরও কম মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। তবে এ সংখ্যাও অনেক বেশি। জীবন বাঁচাতে এখনও অনেক কিছু করার আছে, যা সব দেশ করতে পারে। আমরা আশাবাদী যে আগামী বছরের কোনো এক সময়ে আমরা বলতে পারব–কোভিড-১৯-এর জন্য বিশ্বজুড়ে আর জরুরি অবস্থা থাকছে না।’

জরুরি অবস্থার অবসান ঘটানোর পরিস্থিতি সম্পর্কে ডব্লিউএইচও-র ঊর্ধ্বতন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কারখোভ বলেন, এখনও অনেক কাজ করার বাকি।

তবে করোনাভাইরাসে নতুন ঢেউ আবার আসতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। তবে এই মহামারি আর আগের মতো ভয়াবহ হবে না, মৃত্যুর হারও আগের মতো হবে না। যারা এখনও টিকা নেননি, কেবল তাদের মধ্যে মৃত্যুহার বেশি বলেও জানানো হয়।