২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০২:১৮:১৬ অপরাহ্ন


জাপার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না কাদের: আপিল বিভাগ
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-১২-২০২২
জাপার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না কাদের: আপিল বিভাগ ফাইল ফটো


বিচারিক আদালতে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পযর্ন্ত জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি শেষে বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) এ আদেশ দেন আপিল বিভাগ।

এর আগে সোমবার (১২ ডিসেম্বর) শেষ হয় আপিলের শুনানি। ফলে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চে আদেশ দেয়ার জন্য মামলাটি কার্যতালিকায় ছিল। কিন্তু এদিন অন্যান্য মামলার শুনানি থাকায় আদেশ দেননি আপিল বিভাগ। ফলে বুধবার এ আদেশ দিলেন আপিল বিভাগ।

এর আগে ৪ অক্টোবর দলে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা জিয়াউল হক মৃধা।

এরপর জি এম কাদের যাতে জাপার বিষয়ে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন সে বিষয়ে ৩০ অক্টোবর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত। পরে এ আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে জি এম কাদেরের করা আবেদন ১৬ নভেম্বর খারিজ করে দেন একই আদালত।

এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে মিস আপিল করেন জি এম কাদের। জেলা জজ আবেদন শুনানির জন্য ৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। পরে শুনানির আদেশ এগিয়ে আনার জন্য আবেদন করলে ২৪ নভেম্বর জেলা জজ আদালত সেটিও খারিজ করে দেন। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন করেন জি এম কাদের।

পরে ২৯ নভেম্বর শুনানি শেষে হাইকোর্ট ৩০ অক্টোবরের নিষেধাজ্ঞার আদেশ ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করে রুল জারি করেন।

এরপর জিয়াউল হক মৃধা হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন। ২০ নভেম্বর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে আবেদনটি নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় এটি আপিল বিভাগে শুনানি হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর হাইকোর্টে একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেন জি এম কাদের।

এরপর ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন তিনি। এছাড়া ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন। অন্যদিকে ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়।