নওগাঁর সাপাহারে সরকারি বই পাচার করে কেজি দরে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাবরক্ষক তোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে।
সূত্রমতে জানা গেছে, গত শুক্রবার ১২ টার দিকে প্রায় ৭০/৮০ মণ সরকারি বই ভুটভুটি যোগে পাচার করাকালীন সময়ে স্থানীয় জনগণ হাতেনাতে আটক করে। পরে পাচারকৃত সরকারি বইগুলো সাপাহার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অস্থায়ী গোডাউনে মজুদ করেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাব রক্ষক তোজাম্মেল হক।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৭০ থেকে ৮০ মন সরকারি পাঠ্যপুস্তক একটি বিশালাকার ভুটভুটিতে তুলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশ্য রওনা করে। এসময় স্থানীয় সচেতন লোকজনের মনে সরকারি ছুটির দিনে বই ভর্তি ভুটভুটি ও অপরিচিত লোকজন দেখে সন্দেহের উদ্রেক হয়। পরে উপজেলা গেটে বই ভর্তি ভুটভুটি আটক করেন স্থানীয় জনতা।
এসময় ভুটভুটি চালক নিয়ামতপুর উপজেলার কেন্দুয়া গ্রামের মৃত জামানের ছেলে স্বপনকে স্থানীয়রা জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বই বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন, “বইগুলো রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া ব্যবসায়ীদের নিকট কেজিদরে বিক্রয় করা হয়েছে।”
এমতাবস্থায় তাৎক্ষণিক ভাবে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাব রক্ষক তোজাম্মেল হক ঘটনাস্থলে পৌঁছে সত্যকে ধামাচাপা দিতে জনগণকে কোন জবাব না দিয়ে জোরপূর্বক বইগুলো পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে গিয়ে গুদামজাত করে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামসুল কবিরের সাথে কথা হলে তিনি বইয়ের চালানের তালিকা দেখাতে নানাবিধ পাঁয়তারা করেন এবং এবিষয়ে কিছু জানেন না মর্মে জানান।
বিষয়টি নিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, “ছুটির দিনে কেন বই বাইরে নিয়েছে আর কেন কেজিদরে বিক্রি করেছে এ বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।”