২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৬:০১:৫১ পূর্বাহ্ন


'উচিত শিক্ষা' দিতে যুবকের যৌনাঙ্গে কোপ গৃহবধূর
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০২-২০২২
'উচিত শিক্ষা' দিতে যুবকের যৌনাঙ্গে কোপ গৃহবধূর ফাইল ফটো


প্রায় প্রতিদিনই কুপ্রস্তাব দিত পাশের বাড়ির যুবক। তাতে রাজি হননি গৃহবধূ। প্রত্যাখ্যানও মেনে নিতে পারছিল না যুবক। তাই গৃহবধূর উপর ধারাল অস্ত্র হাতে হামলা চালায়। তাতে বাধা দিতে গিয়েই ঘটল রক্তারক্তি কাণ্ড। রাগের বশে যুবকের যৌনাঙ্গ কাটল গৃহবধূ।এই অভিযোগে গ্রেপ্তার ওই গৃহবধূ।

নাটোরের বড়াইগ্রাম সদর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়াল।

ওই গৃহবধূ এবং যুবক দু'জনেই নাটোরের বড়াইগ্রামের বাসিন্দা। বছর পঁয়ত্রিশের জহুরুল ইসলাম বেশ কয়েকদিন ধরে ওই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেয়। গৃহবধূর শাশুড়ি জানান, জহুরুল দীর্ঘদিন থেকেই তাঁর পুত্রবধূকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিল। নানাভাবে উত্যক্ত করছিল। প্রভাবশালী হওয়ায় বাধ্য হয়ে তাঁর ছেলে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে বাড়ি ছেড়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে বসবাস করছিলেন। গৃহবধূর মায়ের গলাতে একই সুর। তিনি জানান, 'জহুরুল মাদকাসক্ত। সে কারণেই জামাই ও মেয়ে এখানে থাকতে শুরু করেন। কয়েকদিন আগে আমার জামাই টাঙ্গাইলে কাজে যায়। আর সেই সুযোগে সে আবার আমার মেয়ের কাছে আসে। এ সময় জহুরুলের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ধারালো ছুরি দিয়ে আমার মেয়েকে খুনের চেষ্টা করে। শুরু হয় দু'পক্ষের ধস্তাধস্তি। সেই সময় এই কাণ্ডটি ঘটে।'

তবে জহুরুলের পরিবারের দাবি, অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তাদের দাবি, সোমবার রাতে ওই গৃহবধূই জহুরুল ইসলামকে ফোন করে ডেকে পাঠায়। সেই অনুযায়ী যুবক গৃহবধূর বাপের বাড়িতে যায়। পরে সুকৌশলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জহুরুলের গোপনাঙ্গ কেটে নেয় গৃহবধূ। রক্তাক্ত অবস্থায় জহুরুল ছুটে যায়। জালশুকা বাজারে থাকা লোকজনকে জানায়। তাঁরা ওই যুবককে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভরতি করেন। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। আপাতত সেখানেই চলছে চিকিত্‍সা।

এ প্রসঙ্গে বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রহিম বলেন, 'জহুরুল নানাভাবে উত্ত্যক্ত করছিল বলেই অভিযোগ পেয়েছি। এদিকে, জহুরুলের বাবার দাবি, তাঁর ছেলেকে খুন চেষ্টা করে গৃহবধূ। সেই অভিযোগে ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই গৃহবধূকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।'

রাজশাহীর সময় /এএইচ