শীতের মরশুম চলে এসেছে। আর শীতের ঋতুতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতায় ভোগেন। আর অসুস্থতা থেকে বাঁচতে অনেকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধও খান। যদিও মুঠো মুঠো ওষুধ খেলে শরীরে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপায়ে রোগ প্রতিরোক্ষ ক্ষমতা বাড়ানো এবং সুস্থ থাকা অনেক বেশি ভাল বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আর এক্ষত্রে শুকনো খেজুর বা ছোয়ারা খুবই উপকারী হয়ে উঠতে পারে। শুকনো খেজুরে থাকে ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি, কপার, জিঙ্ক, ফসফরাস এবং আয়রনের মতো পুষ্টি উপাদান। ফলে এটি খেলে শরীরে অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ হয়। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক ছোয়ারার উপকারিতা।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে (Immunity Power Booster Food) – কাজু, বাদাম এবং পেস্তার মতো শুকনো খেজুরও শীতে শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ২ থেকে ৩ শুকনো খেজুর দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ঠান্ডা লাগার সমস্যা দূর হয়। খেজুর ও দুধ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শীতকালে শরীরকে রাখে গরম। ফলে ঠান্ডা লাগা ও ফ্লুয়ের মতো মরশুমি রোগের ঝুঁকি কমে।
হজমের সমস্যা কমে (Digestive System) – রক্তচাপের রোগীদের জন্যও খেজুর খুব উপকারী। এর মধ্যে থাকা ফাইবার হজম সংক্রান্ত অনেক সমস্যা দূর করে। শীতের মরশুমে এটি মেটাবলিক রেট বাড়াতেও সাহায্য করে। এর ফলে বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা চলে যায়। তাই যদি অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে, তবে এটি খেতে পারেন। তাতে পেটের জ্বালাপোড়া কমবে।
ক্লান্তি দূর করে (Tiredness Relief) – স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন শুকনো খেজুর ব্যবহারে শরীরের ক্লান্তি কমে যায়। ফলে দীর্ঘ কাজের জেরে শারীরিক ক্লান্তি বাড়লে আনায়াসেই কয়েকটি ছোয়ারা খেতে পারেন। আর গোলাপ জলের সঙ্গে এটি ব্যবহার করলে বুক এবং ফুসফুস শক্তিশালী হয়। পাশাপাশি এটি খেলে পুরুষের স্ট্যামিনা বাড়ে এবং যৌন সমস্যা দূর হয়।