লাভ ম্যারেজ বর্তমানে খুব সাধারণ একটি বিষয়। মা বাবার দেখে দেওয়া পাত্র বা পাত্রীকে বিয়ে করার রেওয়াজ অনেকদিনই চলে গিয়েছে। কিন্তু এই ভালবেসে বিয়ে করা নিয়ে মানুষের মনে একটি ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, লাভ ম্যারেজ মানেই চিরসুখ। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, সমস্যা এক্ষেত্রেই বেশি আসে।
আত্মীয়দের ইচ্ছাপূরণে সমস্যা
অনেক সময় দেখা যায় পছন্দের সন্তানের পছন্দকে অনেকসময়ই মেনে নিতে পারেন না বাবা বা মা। মৌখিকভাবে মেনে নেয় ঠিকই। কিন্তু মনের গভীরে থেকে যায় অভিমান। কিন্তু নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী সন্তানের বিয়ে দিলে তা হয় না। এর জন্য বিয়ের দিন থেকে শুরু হয় চাপ দেওয়া। কথায় কথায় খুঁত ধরে। হয়তো অজান্তেই। কিন্তু যার বিরুদ্ধে এই কথা বলা হয়, তার মনের উপর কী চাপ পড়ে, তা সেই বোঝে। এমন ক্ষেত্রে মাথা ঠান্ডা রাখুন। সময়ের জন্য অপেক্ষা করুন।
বাবা মা অনেক সময় সন্তানের প্রতি বিরূপ হয়ে যান
অসত্য নয়। যদি পছন্দের মানুষকে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, তবে বাবা মায়ের মন বিরূপ হয়ে যায়। নিজেদের দুঃখের কথা তারা আত্মীয়দের বলে। ফলে সন্তানের সঙ্গে বাবা মায়ের দূরত্ব বাড়তে থাকে। এমন ঘটনা ছেলেদের ক্ষেত্রেই বেশিরভাগ সময় ঘটে। এতে যত না কষ্ট পায় বাবা মা, তার চেয়েই বেশি তাদের সন্তানের উপর মানসিক চাপ পড়ে। মন খারাপ না করে বাবা মাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। না বুঝলে ধৈর্য ধরুন।
অভিযোগ জানানোর জায়গা থাকে না
বাড়ির পছন্দ মতো বিয়ে করলে কোনও সমস্যা হলে বাবা মাকে বলা যায়। কিন্তু নিজের পছন্দ মতো বিয়ে করলে সেই সুযোগটা আর থাকে না। কোনও কথা বাড়ির লোককে বলতে গেলেই বিদ্রুপ শুনতে হয়। কোনও সমস্যা হলে নিজেকেই তার সমাধান করতে হয়। তাতে যত সমস্যাই হোক না কেন।
বিয়ের পর বদলে যাওয়ার অভিযোগ
এটা ছেলে ও মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই ঘটে। বিয়ের আগে যখন তারা বয়ফ্রেন্ড আর গার্লফ্রেন্ড থাকে, তখন যেভাবে সময় কাটায়, বিযের পর তা হয় না। বিয়ের পর জীবন অনেকটাই বদলে যায়। প্রেমের জায়গা অনেক সম্পর্কেই কমে যায়। ফলে খুব সাধারণ একটা অভিযোগ উঠে আসে, ‘ও বদলে গেছে’। এই অভিযোগ সর্বৈব সত্য। দিনরাত একসঙ্গে থাকলে ঠোকাঠুকি তো লাগবেই। তাই মানিয়ে গুছিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি প্রেমও টিকিয়ে রাখতে হবে।