‘আমি তোমাকে অসংখ্যভাবে ভালোবেসেছি, অসংখ্যবার ভালোবেসেছি, এক জীবনের পর অন্য জীবনেও ভালোবেসেছি, বছরের পর বছর, সর্বদা, সবসময়।’ প্রেম নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই উক্তি অনেকের ক্ষেত্রেই সত্য। তবে দীর্ঘ দিন একই সম্পর্কে থাকলে অনেক সময় অনেকের সম্পর্কে দেখা দিতে পারে শীতলতা। যেকোন কাজই দীর্ঘ সময় ধরে করলে দেখা দেয় একঘেয়েমিতা, প্রেমের ক্ষেত্রেও তার ব্যত্যয় ঘটে না।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রেমকে চাঙ্গা রাখতে আকাশকুসুম চিন্তা-ভাবনা নয়, বরং ছোট ছোট কয়েকটি কৌশলই হয়ে উঠতে পারে চাবিকাঠি।
নিজেদের জন্য সময় বরাদ্দ করুন আলাদা করে। একসঙ্গে থাকা মানেই কিন্তু কাছাকাছি থাকা নয়। এমন কিছু সময় বার করুন, যা প্রতিদিনের অভ্যস্ত যাপনের মধ্যে পড়ে না। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে একসঙ্গে বসে সারাদিনে কে কী করলেন, তার গল্প করুন। প্রথম প্রথম খুবই সাদামাঠা লাগবে বিষয়টি। কিন্তু দেখবেন, এই একটি অভ্যাস এক দিকে যেমন কাছাকাছি আনবে একে অপরকে, তেমনই কমাবে মানসিক চাপ।
অনেক সময় শারীরিক দূরত্বও মানসিক ব্যবধান বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে কাছাকাছি আসুন শারীরিক ভাবেও।
সংসারের খরচপাতির হিসেব করুন একসঙ্গে বসে। পরিসংখ্যান বলছে, শতকরা সত্তর শতাংশ দম্পতি ঝগড়া করেন টাকা-পয়সার সমস্যা নিয়ে। অনেক সময় আয় করা মানুষটি অর্থসঙ্কটের কথা গোপন করেন অন্যের কাছে, এতে মানসিক চাপ বাড়ে। শীতল হতে থাকে সম্পর্কও। মুদিখানার খরচ বা আয়কর, সবই জানান সঙ্গীকে। দু’জনে মিলে চেষ্টা করলে অবশ্যই বেরোবে সমাধান।
ভালোবাসার মানুষটিকে বারবার জানান ভালোবাসার কথা। ভালো সম্পর্কের জন্য শুধু ভালোবাসাই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন তার প্রকাশেরও। কোনও কারণ ছাড়াই উপহার কিনে আনুন সঙ্গীর জন্য। খুব দামি কিছু হতে হবে, এমন নয়। ভালোবাসা থাকলে আপাত তুচ্ছ কোনও জিনিসও অমূল্য মনে হতে পারে। পুরনো কোনও ছবি হঠাৎ বাঁধিয়ে আনুন, অফিস থেকে ফেরার পথে কিনে আনুন গোলাপচারা। দেখা করার সময় পৌঁছতে দেরি হয়ে গেলে সঙ্গীর জন্য কিনে নিন পছন্দের চকোলেট। দেখবেন, নিজেদের অজান্তেই কাছাকাছি চলে এসেছেন দু’জনে।