২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৯:৫৪:৫৪ অপরাহ্ন


ইলন মাস্ক নন, ইনিই পৃথিবীর ধনীতম ব্যক্তি
সুমাইয়া তাবাসুম:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-১১-২০২২
ইলন মাস্ক নন, ইনিই পৃথিবীর ধনীতম ব্যক্তি ইলন মাস্ক নন, ইনিই পৃথিবীর ধনীতম ব্যক্তি


পৃথিবীর ধনীতম ব্যক্তি কে? এর উত্তরে প্রায় সকলেরই মনে যাঁর নাম আসবে, তিনি হলেন টেসলা, স্পেস এক্স এবং তালিকায় নবতম সংযোজন টুইটারের মালিক ইলন মাস্ক। এছাড়া আমাজন-কর্তা জেফ বেজোস, কিংবা ফেসবুকের মালিক মার্ক জুকারবার্গের কথাও মাথায় আসতে পারে অনেকের। কিন্তু জানেন কি, এগুলির একটাও সঠিক উত্তর নয়?

হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। আসলে পৃথিবীর ধনীতম ব্যক্তির কথা শুনলেই আমাদের মাথায় আসে বর্তমান সময়ের অর্থাৎ জীবিত ব্যক্তিদের কথা। কিন্তু জানেন কি, মধ্যযুগে এমন মানুষও ছিলেন এই পৃথিবীতে, যাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ বর্তমানের তাবড় ধনকুবেরের সম্পত্তির চেয়েও বেশি। তাই, এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হল, মানসা মুসা।

মানসা মুসা ছিলেন মধ্যযুগে মালির সম্রাট। খ্রিস্টপূর্ব ১২৮০ সাল থেকে ১৩৩৭ সাল পর্যন্ত পৃথিবীতে ছিলেন তিনি। এইটুকু সময়ই বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন মুসা। নাইজেরিয়া থেকে সেনেগাল উপকূলের সুবিশাল অঞ্চলের অধিকারী ছিলেন মুসা। বিশ্বের ধনকুবেরদের মোট সম্পত্তির হিসেব রাখে, এমন একটি ম্যাগাজিনের হিসেব অনুযায়ী, বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হিসেব করলে আজ পর্যন্ত পৃথিবীর সেরা ধনকুবেরদের তালিকায় সবার উপরেই থাকবে মুসার নাম।

হিসেব অনুযায়ী, তাঁর সম্পত্তির মোট পরিমাণ বর্তমানের হিসেব অনুযায়ী ৪০০ বিলিয়ন ডলার, যেখানে ইলন মাস্কের বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ২১৯ বিলিয়ন ডলার। জেফ বেজোস এবং মাইক্রোসফ্টের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের সম্পত্তির পরিমাণ যথাক্রমে ১৭১ এবং ১১৮ বিলিয়ন ডলার। 

মুসার খ্যাতির অন্যতম কারণ হল তাঁর মক্কা ভ্রমণের কাহিনী। ১৩২৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ৬ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ইসলামের পবিত্র তীর্থস্থান মক্কায় পৌঁছেছিলেন মুসা। তাঁর সঙ্গে ছিল ১২ হাজার দাস এবং শ-খানেক উট। প্রত্যেকটি উটের পিঠে ছিল ১০০ কেজি করে মহামূল্যবান রত্ন এবং ধাতু। বিপুল পরিমাণ সোনার অধিকারী ছিলেন মুসা। জীবদ্দশায় অজস্র মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি।ইতিহাসবিদদের মতে, মানবসভ্যতার ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ধনী হয়ে রয়ে যাবেন মুসাই।