২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:১৩:০৫ অপরাহ্ন


খাদ্য নিরাপত্তায় ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল
অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-১১-২০২২
খাদ্য নিরাপত্তায় ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল খাদ্য নিরাপত্তায় ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল


দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৫ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল (স্কিম) গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই তহবিল থেকে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ সরল সুদে ঋণ পাবেন কৃষক। ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ বিনা জামানতে নিতে পারবেন ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গা চাষিরা। ঋণ পরিশোধে তিন মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১৮ মাস সময় পাবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিক বেড়েছে। এতে বিশ্বে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য কৃষি বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে কৃষি খাতে স্বল্প সুদহারে ঋণপ্রবাহ বজায় রাখার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব অর্থায়নে গঠিত এ তহবিলের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। প্রয়োজনে তহবিলের অর্থের পরিমাণ ও মেয়াদ বাড়ানো হবে। ধান চাষ, মৎস্য চাষ, শাক-সবজি ও ফলমূল চাষ, প্রাণিসম্পদ খাতের আওতায় পোলট্রি ও দুগ্ধ উৎপাদন খাতে এ তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া যাবে।

কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালার আওতাভুক্ত ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগের সঙ্গে একটি অংশগ্রহণ চুক্তির মাধ্যমে এই সুবিধা নিতে পারবেন। ব্যাংকগুলোর চাহিদা, কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা এবং ঋণ বিতরণের সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে কৃষি ঋণ বিভাগ তহবিল বরাদ্দ করবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে দশমিক ৫০ শতাংশ সুদে অর্থ নিয়ে কৃষক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণ করবে ব্যাংকগুলো। আর ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তহবিল পাবে মাত্র দশমিক ৫০ শতাংশ সুদে।

এতে আরও বলা হয়, এই তহবিলের অধীনে ব্যাংকগুলো নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করবে। ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গা চাষিদের ফসল ও শস্য (ধান, শাক-সবজি, ফুল ও ফল) চাষের জন্য সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন ঋণ বিতরণ করতে পারবে ব্যাংকগুলো। তবে কোনো খেলাপি কৃষক এই তহবিল থেকে ঋণ পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।

এই তহবিলের ঋণ কোনোভাবেই গ্রাহকের পুরনো ঋণের সমন্বয় করতে পারবে না। ঋণ পরিশোধে কৃষক বা গ্রাহক তিন মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১৮ মাস সময় পাবেন। তবে কৃষক পর্যায়ে বিতরণ করা ঋণ আদায়ের সব দায়-দায়িত্ব ঋণ বিতরণকারী ব্যাংকের ওপর ন্যস্ত থাকবে। এ ক্ষেত্রে ঋণ আদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাওনাকে সম্পর্কিত করা যাবে না।

এ তহবিলের আওতায় কৃষককে ঋণ গ্রহণে উৎসাহিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট ফসল চাষের মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই বিশেষ ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে হবে। এ ছাড়া ৪ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণ সম্পর্কিত তথ্যাদি উল্লেখ করে ব্যাংকের বাইরে সহজে দৃষ্ঠিগোচর হয়- এমন স্থানে ব্যানার স্থাপন করতে হবে।