বলতেই পারেন, একেকজনের ক্ষেত্রে কারণটা একেকরকম! আবার জ্যাকুইস লাকানের মতো মনোস্তাত্ত্বিক বলতে পারেন, পুরুষরা মাতৃগর্ভেই নিরাপদে থাকেন, তাই ওই সময়টাতেও ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেন সেখানে! পক্ষান্তরে, তাদের আশ্রয় দিয়ে আনন্দ পান নারীরা!
কিন্তু এসব কিছুই নয়। স্টারলিং বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক নিতান্তই ডিএনএ এবং তার গঠনের উপরে ভিত্তি করে প্রশ্নটার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন। তারা বলছেন- মানুষ কেন সেক্স করে তার উত্তর লুকিয়ে রয়েছে প্রজননের ফলাফলের মধ্যে! কীরকম?
২০ হাজার মাছির মধ্যে এর জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন গবেষকরা। এই ধরনের মাছি মূলত জলের উপরে ঘুরে বেড়ায়। প্রয়োজনমতো সরাসরি কোষ থেকে উৎপন্ন করতে পারে নতুন প্রাণ- ক্লোনিং আর কী! আবার কখনও বা তারা সঙ্গমের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দিয়ে থাকে।
গবেষকরা বলছেন, সৃষ্টির শুরুতে যখন এককোষী থেকে ধীরে ধীরে বহুকোষী প্রাণীর উদ্ভব হচ্ছে, সেই সময়েই যৌনমিলনের তাৎপর্য বুঝতে পারে মানুষ। কেন না, ওই কোষ রূপান্তরের সময় অন্য অনেক প্রাণীর মতো মানুষও সক্ষম ছিল কোষ থেকে প্রাণ উৎপাদনে- এমনই বিস্ফোরক দাবি তুলেছেন ওই গবেষকরা!
কিন্তু দেখা গেছে, সঙ্গমের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া সন্তান ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া সন্তানের চেয়ে শারীরিকভাবে অনেক বেশি উন্নত হয়। তাই সমাজে ধীরে ধীরে যৌনমিলনের চাহিদা বাড়ে! বিবর্তনের সূত্রে যা পরে পরিণত হয়ে গেল নিয়মে!
গবেষণায় মাছিদের উপরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েও ঠিক এই একই ব্যাপার দেখেছেন স্টারলিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। মাছিদেরও মিলনের মাধ্যমে উৎপন্ন সন্তান অনেক বেশি উন্নত ক্লোনড সন্তানের চেয়ে। এভাবেই সেক্স কেন প্রয়োজনীয়, সেই সূত্রে পৌঁছেছেন তারা!