পাবনার চাটমোহর উপজেলায় স্বামীকে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে এক বিছানায় দেখে গলায় ফাঁস দিয়ে প্রবাসফেরত এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে পাবনা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।
শেফালী খাতুন উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের চরসেনগ্রাম আলাউদ্দিন আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
নিহত নারীর নাম শেফালী খাতুন (৩৫)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শেফালী খাতুন দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় অবস্থান করার পর চার মাস আগে বাড়ি ফেরেন। সোমবার বিকালে সাংসারিক কাজ শেষে বাইরে থেকে বাড়ি ফেরার পর শেফালী খাতুন দেখেন স্বামী আলাউদ্দিন আলী প্রথম স্ত্রী বাছিরন খাতুনকে সঙ্গে করে এক বিছানায় শুয়ে আছেন। বিষয়টি ভালোভাবে নেননি তিনি। শেফালী স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করার এক পর্যায়ে শুরু করেন ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুর। পরে স্বামীর ওপর অভিমান করে পাশের একটি ঘরে গিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেন।
বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন গুরুতর অবস্থায় শেফালী খাতুনকে উদ্ধার করে প্রথমে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই পাবনা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান শেফালী খাতুন। লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ।
এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, শেফালী খাতুন কয়েকমাস আগে প্রবাস থেকে বাড়ি ফিরেছেন। সোমবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে ওই নারী স্বামীর ওপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দেন। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়েরের পর সুরতহাল শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
রাজশাহীর সময় /এএইচ