২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৯:১৬:৪৮ পূর্বাহ্ন


হবিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি ব্যাপক সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক আহত
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-১১-২০২২
হবিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি ব্যাপক সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক আহত হবিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি ব্যাপক সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক আহত


হবিগঞ্জে উপজেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভাকে কেন্দ্র করে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১০ পুলিশসহ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জিকে গউছসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় পুলিশ শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস শেল ছোড়ে।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় লাখাই বামৈ এলাকায় লাখাই উপজেলা বিএনপির আয়োজনে সিলেটের গণসমাবেশ সফল করতে প্রস্তুতিমূলক সভা চলছিল। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগামী ১৯ নভেম্বর সিলেটে বিএনপির মহাসমাবেশকে সফল করতে বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে লাখাই উপজেলা বিএনপির প্রস্তুতিমূলক সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জিকে গউছ। সভা চলাকালে লাখাই থানা পুলিশ বাধা দিলে পুলিশ ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশের গুলিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জিকে গউছসহ অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া সংঘর্ষে লাখাই থানার ১০ পুলিশ আহত হয়েছেন।

আহত বিএনপি নেতাকর্মীরা বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে সভা করার সময় পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে তারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে।’

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জিকে গউছ বলেন, ‘বিনা উসকানিতে পুলিশ শান্তিপূর্ণ সভায় হামলা করে। লাখাই থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ লাঠিচার্জ, ভাঙচুর ও নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।’ এ সময় তাদের কয়েকঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয় বলেও জানান জিকে গউছ।

তিনি বলেন, হামলা-গ্রেফতার ও গুলির ভয় দেখিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের দমানো যাবে না।

হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা বলেন, লাখাইয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা নাশকতার জন্য জড়ো হচ্ছিল ভেবে পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়। এতে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে কমপক্ষে ১০ পুলিশ আহত হয়েছে। পরে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।