২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:১৪:৫৪ অপরাহ্ন


অবশেষে চাঁদের পথে মহাকাশে ‘আর্টেমিস ১’ এর সফল উৎক্ষেপণ
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-১১-২০২২
অবশেষে চাঁদের পথে মহাকাশে ‘আর্টেমিস ১’ এর সফল উৎক্ষেপণ ফাইল ফটো


তৃতীয় প্রচেষ্টায় বুধবার (১৬ নভেম্বর) ফ্লোরিডার নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে চাঁদের পথে রওনা দিয়েছে ‘আর্টেমিস-১’ মহাকাশ যান।

বিবিসি জানায়, সফল উৎক্ষেপণ উদযাপন করতে নাসার পুরনো প্রথা মেনে নিজের টাই কেটে ফেলেছেন মিশনের লঞ্চ ডিরেক্টর চার্লি-ব্ল্যাকওয়েল থম্পসন। বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৪৭ মিনিটে চাঁদের পথে রওনা দিয়েছে আর্টেমিস-১। মহাকাশে ১৪ হাজার মাইলের বেশি গতিতে ছুঁটছে ওরিয়ন স্পেস ক্র্যাফট।

নাসার এবারের চাঁদে মানুষ পাঠানোর মিশন হবে তিনটি ধাপে। যার প্রথম ধাপ ‘আর্টেমিস-১’। এটি যাত্রীবিহীন অভিযান। এর মূল লক্ষ্য চাঁদের মাটিতে নামার জন্য সম্ভাব্য ‘ল্যান্ডিং সাইট’গুলো চিহ্নিত করা। একই পরীক্ষা হবে দ্বিতীয় ধাপেও।

এর আগে প্রথম দুবার নাসার আর্টেমিস মিশন যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ধাক্কা খায়। তৃতীয়বারের প্রচেষ্টায় ২৭ সেপ্টেম্বর তা চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তৃতীয় প্রচেষ্টায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় ট্রপিক্যাল ঝড়। নাসার বিজ্ঞানীরা গভীর উদ্বেগের মধ্যে আর্টেমিস মিশন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

আর্টেমিস-১ চন্দ্রযানটি ৯৮ মিটার লম্বা। কমলা ও সাদা রঙের বিশাল রকেটটি তৈরিতে সময় লেগেছে কয়েক দশক। এর নাম রাখা হয়েছে গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী। জ্বালানি হিসেবে ভরা হয়েছে ৩০ লাখ লিটার অতিরিক্ত ঠান্ডা তরল হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন। মূলত এসএলএস (স্পেস লঞ্চ সিস্টেম) ও ওরিয়ন ক্রিউ ক্যাপস্যুলের পরীক্ষামূলক ব্যবহারের জন্য এ রকেট চাঁদে পাঠানো হচ্ছে।

১৯৬৯ সালে নাসার অ্যাপোলো-১৭ অভিযানে শেষবার চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিল মানুষ। এর প্রায় ৫০ বছর পর আবারও চন্দ্রাভিযানে যাওয়ার চেষ্টা। তবে এখনই কোনো নভোচারী যাচ্ছে না। নাসার ‘ডিপ স্পেস এক্সপ্লোরেশন’-এর প্রাথমিক পর্ব আর্টেমিস-১। সব ঠিক থাকলে ২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠাবে বলে জানিয়েছে নাসা।