২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৮:১৪:১৪ অপরাহ্ন


স্থির পানিতে প্রস্রাব-পায়খানা করা যাবে কি?
ধর্ম ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-১১-২০২২
স্থির পানিতে প্রস্রাব-পায়খানা করা যাবে কি? ফাইল ফটো


যেখানে শক্ত মাটি কিংবা পাথরের ওপর প্রস্রাব করা নিষিদ্ধ সেখানে স্থির পানি বা বদ্ধ জলাশয়ে প্রস্রাব-পায়খানা করা যাবে কি? এ সম্পর্কে ইসলামের দিকনির্দেশনাই বা কী?

মানবজীবনের সব ক্ষেত্রে ইসলামের বিধি-বিধান সুস্পষ্ট। প্রস্রাব-পায়খানার মতো একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়ও এর থেকে বাদ যায়নি। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহিহ ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমি তোমাদের জন্য বাবার মতো। আমি তোমাদের সব কিছু শিক্ষা দিয়ে থাকি।

নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 'তোমরা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে কেবলাকে সামনে বা পেছনে দিয়ে বসবে না। ডান হাত দিয়ে শৌচকার্য সম্পাদন করবে না।’ তিনি তিনটি ঢিলা ব্যবহারের নির্দেশ দিতেন এবং গোবর ও হাড্ডি দ্বারা ঢিলা করা থেকে বারণ করতেন।' (আবু দাউদ ৭)

শুধু তা-ই নয়, এমন স্থানে প্রস্রাব-পায়খানা করতে নিষেধ করতেন, যেখান বসলে মানুষ দেখে। আওয়াজ শোনে এবং দুর্গন্ধ মানুষের নাকে আসে। (তিরমিজি ২০, আবু দাউদ ২)

না, স্থির পানিতে প্রস্রাব পায়খানা করা যাবে না। কেননা নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা করতে নিষেধ করেছেন। তাছাড়া কোনো বদ্ধ জলাশয়ে প্রস্রাব-পায়খানা করলে তাতে রোগজীবাণু জন্ম নেয়। ফলে সেই পানিতে গোসল করলে নাক, মুখ, চোখ দিয়ে খাদ্যনালী ও শ্বাসনালী হয়ে শরীরে প্রবেশ করে রোগের সৃষ্টি করে। ফলে চর্মসহ যাবতীয় রোগে আক্রান্ত হবে মানুষ। এ কারণে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বদ্ধ ও স্থির পানিতে প্রস্রাব-পায়খানা করতে নিষেধ করেছেন। এ রকম পানিতে অজু ও গোসল করতেও নিষেধ করেছেন। হাদিসে এসেছে-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 'তোমাদের কেউ যেন বদ্ধ পানিতে প্রস্রাব না করে এবং এরপর সেখানে গোসল না করে।' (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)

আরও যেখানে প্রস্রাব-পায়খানা করা যাবে না; তাহলো-

১. আবদ্ধ কম পানিতে প্রস্রাব-পায়খানা করা মাকরুহ। (মুসলিম ৪২৩)

২. আবদ্ধ বেশি পানি বা প্রবহমান পানিতে প্রস্রাব-পায়খানা করা অনুচিত। (মুসলিম ৪২৫)

৩. প্রস্রাব-পায়খানার জন্য নরম বা উঁচু স্থান বেছে নেওয়া, যাতে শরীরে ছিটা না লাগে। (আবু দাউদ ৩)

৪. মাটির গর্তে প্রস্রাব না করা। কেননা ভেতরে সাপ-বিচ্ছু থাকলে ক্ষতি হতে পারে অথবা ক্ষতি করতে পারে। (আবু দাউদ ২৭)

৫. রাস্তা বা কবরস্থানে প্রস্রাব-পায়খানা না করা। (মুসলিম ৩৯৭)

৬. ছায়াময় স্থানে প্রস্রাব না করা, যেখানে মানুষ বিশ্রাম নেয়। (আবু দাউদ)

৭. ফলবিশিষ্ট গাছে নিচে প্রস্রাব-পায়খানা না করা। (আবু দাউদ ২৪)