২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৪:২৫:২৫ অপরাহ্ন


হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক উদ্ধার
অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-১১-২০২২
হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক উদ্ধার হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক উদ্ধার


বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়া নবজাতককে গাজীপুরে পাওয়া গেছে। সদর থানা পুলিশ রোববার সন্ধ্যায় চন্দ্রা বাজার এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে। সোমবার আদালতের মাধ্যমে শিশুটিকে মায়ের কোলে তুলে দেওয়া হয়েছে।

সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে সহযোগিতা দেওয়ার প্রলোভনে অজ্ঞাত এক নারী শিশুটিকে চুরি করে।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, বগুড়া সদরের এরুলিয়া বানদীঘি গ্রামের সৈকত হাসানের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ইতি বেগমকে (২৩) গত ৫ নভেম্বর বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরদিন সিজারিয়ানের মাধ্যমে তিনি ছেলেসন্তান প্রসব করেন।

শিশুটির নানি সালেহা বেগম জানান, ৯ নভেম্বর দুপুরে তার মেয়ে ইতি ও রোজিনা বাচ্চাকে নিয়ে গাইনি ওয়ার্ডে বসে ছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত পরিচয় এক নারী সেখানে আসেন। তিনি সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপর খালা রোজিনা বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতালের নিচতলায় বহির্বিভাগে আসেন। ওই নারী বাচ্চাকে কোলে নেন ও খালা রোজিনাকে কিছু কাগজ ফটোকপি করার জন্য বাহিরে পাঠান। রোজিনা ফটোকপি করতে হাসপাতালের বাহিরে গেলে ওই নারী বাচ্চা নিয়ে পালিয়ে যান।

পুলিশ আরও জানায়, শিশুটি চুরির পর দেশের বিভিন্ন থানায় বার্তা প্রেরণ করা হয়। স্থানীয়রা রোববার দুপুরে গাজীপুরের চন্দ্রা বাজার এলাকায় রাস্তার পাশে নবজাতকের সন্ধান পান। ওই এলাকার পুলিশ বিষয়টি বগুড়া সদর থানায় অবহিত করে। এরপর পুলিশ শিশুটির বাবা সৈকত হাসান ও মা ইতি বেগমকে নিয়ে সেখানে যান। তারা তাদের চুরি যাওয়া সন্তানকে শনাক্ত করেন। সদর থানা পুলিশ রোববার রাতে শিশুটিকে নিয়ে বগুড়ায় পৌঁছেন।

স্থানীয়রা জানান, এর আগেও এই হাসপাতাল থেকে একাধিক শিশু চুরি হয়। তাদের ধারণা, একটি সংঘবদ্ধ চক্র হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি করে থাকে। আর এর সঙ্গে হাসপাতালের অসাধু কর্মচারীরা জড়িত।

সদর থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, গাজীপুরের চন্দ্রা বাজার এলাকার এক ব্যক্তি পরিত্যক্ত অবস্থায় শিশুটিকে পেয়েছিলেন। তার মাধ্যমে খবর পেয়ে সেখান থেকে ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সোমবার বগুড়ার আদালতের নির্দেশে নবজাতককে তার বাবা-মার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।