১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৫:০৪:৪৩ অপরাহ্ন


যুবতীর মামলা নিতে তিন মাস ধরে ঘুরাচ্ছেন চন্দ্রিমা থানার ওসি !
স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-১১-২০২২
যুবতীর মামলা নিতে তিন মাস ধরে ঘুরাচ্ছেন চন্দ্রিমা থানার ওসি ! যুবতীর মামলা নিতে তিন মাস ধরে ঘুরাচ্ছেন চন্দ্রিমা থানার ওসি !


মামলা হবে, দেখছি, মিমাংসা করে নাও, কাল এসো, দুইদিন পর এসো, এক সপ্তাহ্ পরে এসো এই রকম তালবাহানা করেই তিনমাস ধরে পুস্পা নামের এক যুবতীকে হয়রানী করছেন চন্দ্রিমা থানার ওসি মোঃ এমরান আলী। 

যুবতী জানায়, (Mdtaki Hossain) নামের এক ফেসবুক আইডি থেকে তার ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে মেসেজ করে বিভিন্নধরনের অশ্লিল কথাবার্তা বলে। নিষেধ করলে সে যুবতীকে বলে তোমার একটা অশ্লিল ছবি দাও। আমি তোমাকে আর বিরক্ত করবো না। যুবতী তার প্রস্তাবে রাজি না হলে সে হুমকি দিয়ে বলে তোমার ছবি ইডিট করে অশ্লিল ছবির সাথে সংযুক্ত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবো । 

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৮/০৮/২০২২ তারিখে ওই যুবতী বাদি হয়ে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। সাধারণ ডারেয়ী নং-১২৬৮, তাং-২৮-০৮-২০২২। এরপর (Mdtaki Hossain) নামের ফেসবুক আইডি তদন্তের জন্য সাইবার ক্রাইম ইউনিটে পাঠায় থানা পুলিশ। সেখান থেকে ১৫দিনের মধ্যে ওই আইডি সঠিক বলে থানায় রিপোর্ট প্রদান করেন সাইবার ক্রাইম ইউনিট। সনাক্ত হয় অভিযুক্ত।

এরপর মামলা না নিয়ে শুরু হয় ওসির নাটক। বলেন, মামলা দিলে যুবতী মেয়েটার দূর্ণাম হয়ে যাবে। তাই অভিযুক্তকে ডেকে মিমাংসা করে দেবো। দুই দিন পরে আসেন। এরপর থানায় গেলে বলেন, ওসি তদন্তকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন তিনি। আপনি ঠান্ডা মাথায় বাড়িতে থাকেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি আপনার পাঁ ধরবে। এভাবেই দুই মাস পার করেন চন্দ্রিমা থানার ওসি এমরান। পরে অভিযুক্ত ব্যক্তি যুবতীকে দেখলে নানা ধরনের অঙ্গভঙ্গি করতে থাকেন। এখানে সেখানে বলে বেড়াচ্ছে ওই ছেমড়ি আমার কিছুই করতে পারবেনা। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে যুবতী থানায় গিয়ে ওসিকে মামলা নিতে অনুরোধ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ওসি হটাৎ একদিন বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির ফেসবুক আইটি হ্যাক হয়েছে। সে বোয়ালিয়া থানায় জিডি করেছে। বিষয়টি সাইবার ক্রাইম ইউনিট থেকে নিশ্চিত হতে হবে। আসলে হ্যাক হয়েছে কিনা। তারপর মামলা হবে।

এদিকে, খোঁজ নিয়ে দেখা যায় যুবতীর জিডির করার পরে অভিযুক্ত ব্যক্তি কাউন্টার হিসেবে ২/৩ দিন পরে একটি জিডি করেছেন। ওই ওজুহাত দেখিয়ে অজ্ঞাত কারনে ওসি মামলা নিচ্ছেন না বলে যুবতীর অভিযোগ। 

এ ব্যপারে জানতে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ এমরান আলীর মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ওসি তদন্তের মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে জানতে চাওয়া হয়। তিনি জানান, মামলা নেয়ার দায়িত্ব ওসি স্যারের। তিনি বললেই মামলা হবে। কিন্ত স্যার আমার কাছে কেন পাঠাচ্ছেন এটা আমার বোধগম্য নহে।

সোমবার ওসি স্যারের সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলেও জানান ওসি তদন্ত।