২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৪:৩৩:০৭ অপরাহ্ন


বিয়ে করতে চাপ দেয়ায় প্রেমিকাকে কুপিয়ে ৩৫ টুকরো করলো প্রেমিক !
সুমাইয়া তাবাসুম:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-১১-২০২২
বিয়ে করতে চাপ দেয়ায় প্রেমিকাকে কুপিয়ে ৩৫ টুকরো করলো প্রেমিক ! বিয়ে করতে চাপ দেয়ায় প্রেমিকাকে কুপিয়ে ৩৫ টুকরো করলো প্রেমিক !


তরুণীকে খুন করে তার দেহ কুপিয়ে ৩৫ টুকরো করা হয়েছে। সেই টুকরোগুলো ফেলা হয়েছে দিল্লির নানা জায়গায়। ঘটনাটি  ঘটে ১৮ মে। তরুণীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার সূত্র ধরে অভিযানে নামে পুলিশ।  এরপর পরিবারের লোকজনের ভাষ্য শোনা হয়। পরে পুলিশ জানতে পারে এর পেছনে অন্য ঘটনা লুকিয়ে আছে। ধীরে ধীরে রহস্যের সমাধান হয়। ধরা পড়ে অপরাধী। গ্রেফতারকৃতের নাম অফতাব আমিন পুনাওয়ালা। ওই তরুণীরই প্রেমিক। 

নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনা জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ ,পুলিশ জানতে পেরেছে, মৃত যুবতীর নাম শ্রদ্ধা (২৬)। মুম্বইয়ের একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির কল সেন্টারে কাজ করতেন  শ্রদ্ধা। দিল্লির বাসিন্দা আফতাবের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। মুম্বই থেকে দিল্লিতে এসে আফতাবের সঙ্গে থাকতে শুরু করে তিনি। তাঁরা লিভ-ইন করতেন বলে জানা গেছে। 

মেহরুলিতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন আফতাব আর শ্রদ্ধা নামের এক প্রেমিক যুগল । তদন্তকারীরা বলছেন, গ্রেফতার প্রেমিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, প্রায়ই তাঁদের মধ্যে নানা টুকিটাকি বিষয় নিয়ে ঝামেলা লেগে লাগত। একদিন প্রচন্ড রাগের মাথায় যুবতী শ্রদ্ধাকে গলা টিপে খুন করে আফতাব। শ্রদ্ধার শরীর নিথর হয়ে গেল আফতাব ভয় পেয়ে যায়। অপরাধ ঢাকতে মেয়েটির দেহ ৩৫ টুকরো করে কেটে ফেলে। এরপর বড় একটি ফ্রিজার কিনে এনে তার মধ্যে টুকরোগুলো রেখে দেয়। এরপর সময় বুঝে দিল্লির নানা জায়গায় সেই টুকরোগুলো ফেলে দিয়ে আসে।

এইভাবে অপরাধ ধামাচাপা পড়ে যাবে বলে ভেবেছিল আফতাব। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন থানায় নিখোঁজ ডায়রি করেন। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ১৮ মে শ্রদ্ধার সঙ্গে শেষ কথা হয়। তারপর মেয়ের ফোন বন্ধ ছিল। তাই শেষে দিল্লিতে এসে শ্রদ্ধা যে ফ্ল্যাটে থাকতেন সেখানে গিয়ে দেখেন দরজায় তালা বন্ধ। কোনও বিপদ হয়েছে বুঝে পুলিশকে সব জানান। শ্রদ্ধাকে খুঁজতে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। আফতাবের খোঁজও শুরু হয়। এরপরেই রহস্যের জাল উন্মোচন হয়। ভয়ঙ্কর সত্য জানতে পারে পুলিশ।

গ্রেফতার প্রেমিক অফতাব স্বীকার করেছে, খুনটা সেই করেছে। শ্রদ্ধা তাকে বিয়ে করতে চাইছিল, আর সে রাজি ছিল না। এই নিয়ে অশান্তি চলছিল। তাই রাগের মাথায় খুন করে সে।