২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৮:০২:৫৩ অপরাহ্ন


নেক আমল কাউকে জান্নাতে প্রবেশ করাতে পারবে না!
ধর্ম ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-১১-২০২২
নেক আমল কাউকে জান্নাতে প্রবেশ করাতে পারবে না! ফাইল ফটো


নেক আমল জান্নাতে যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম। নেক আমল না থাকলে কেউই জান্নাতে যেতে পারবে না। তবে নেক আমল থাকা সত্ত্বেও আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের ওপর ভরসা থাকতে হবে। যে ভরসা না থাকলে কেউই জান্নাতে যেতে পারবে না। যা নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতকে সতর্ক ও সুসংবাদ দেওয়ার জন্য হাদিসে উল্লেখ করেছেন। কী সেই ভরসা?

হাদিসের মূল কথাটি হচ্ছে, প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহের বিকল্প নেই। কোনো ব্যক্তি তার আমলনামা দ্বারা পার পাবে না; যদি তার প্রতি আল্লাহর রমহত ও দয়া না থাকে। হাদিসে পাকে চমৎকারভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছেন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাহলো-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তোমাদের কোনো ব্যক্তিকে তার নেক আমল জান্নাতে প্রবেশ করাতে পারবে না। লোকজন প্রশ্ন করলো, হে আল্লাহর রাসুল! আপনাকেও নয়? তিনি বললেন, আমাকেও নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ আমাকে তাঁর করুণা ও দয়া দিয়ে আবৃত না করেন। কাজেই মধ্যমপন্থা গ্রহণ কর এবং (আল্লাহর) নৈকট্য পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাও। আর তোমাদের মধ্যে কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে। কেননা, সে ভালো লোক হলে (বয়স দ্বারা) তার নেক ’আমল বৃদ্ধি হতে পারে। আর খারাপ লোক হলে সে তওবা করার সুযোগ পাবে।’ (বুখারি ৫৬৭৩)

এ হাদিসে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে মধ্যম পন্থা অবলম্বন ও আল্লাহর নৈকট্য পাওয়ার চেষ্টা চালানোর জন্য বলেছেন। আর শেষাংশে তিনি দুটি বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন, কেউ যেন মৃত্যু কামন না কারে। কারণ, সে যদি ভালো লোক হয় আর বেঁচে থাকে তবে সে তার দুনিয়ার জীবনে নেক আমল বাড়াতে পারবে। ইবাদত-বন্দেগি ও আল্লাহর হুকুম-আহকাম মেনে চলতে পারবে। পক্ষান্তরে কেউ যদি খারাপ লোক হয়, তাতেও তার জন্য কল্যাণ অপেক্ষা করতে পারে। কারণ সে বেঁচে থাকলে আল্লাহর কাছে তার তওবার দরজা খোলা থাকবে। সুতরাং সে মুক্তি পেতে পারে।

মুমিন মুসলমানের উচিত, সব সময় মহান আল্লাহর রহমত ও দয়ার মুখাপেক্ষী থাকা। কেননা মহান আল্লাহ বান্দার উদ্দেশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, ‘তোমরা আমার রহমত থেকে নিরাশ হইও না।’ এ জন্য আল্লাহর কাছে বেশি বেশি রহমত করা উচিত। এভাবে আল্লাহর কাছে দোয়া করা-

اَللَّهُمَّ ارْحَمْنَا فَاِنَّكَ خَيْرُ الرَّاحِمِيْن

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মারহামনা ফা ইন্নাকা খায়রুর রাহিমিনি।’

অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের প্রতি রহমত দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি উত্তম দয়াকারী।’

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর রহমত ও দয়ার প্রতি মুখাপেক্ষী হওয়ার তাওফিক দান করুন। বেশি বেশি নেক আমল ও আল্লাহর নেকট্য পাওয়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসের নসিহতগুলো মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।