২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৩:৪৯:২১ অপরাহ্ন


জলবায়ু উদ্বাস্তু অর্থায়নে জোর দেবে বাংলাদেশ
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-১১-২০২২
জলবায়ু উদ্বাস্তু অর্থায়নে জোর দেবে বাংলাদেশ জলবায়ু উদ্বাস্তু অর্থায়নে জোর দেবে বাংলাদেশ


মিসরের অবকাশযাপন শহর শার্ম-এল-শেখে আজ রবিবার শুরু হচ্ছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কনফারেন্স অব পার্টিজ, যা সংক্ষেপে কপ নামে পরিচিত। এবার হচ্ছে কপের ২৭তম সম্মেলন।

নেতা, বিশেষজ্ঞ, আন্দোলনকর্মীসহ বিশ্বের ১৯৮টি দেশের প্রায় ৪৫ হাজার মানুষের অংশগ্রহণ থাকবে এবারের সম্মেলনে।

প্যারিস চুক্তির আওতায় জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিপূরণে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছিল উন্নত বিশ্ব।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ওই তহবিল থেকে বাংলাদেশের অর্থ পাওয়া খুব বেশি নিশ্চিত হয়নি। সেই বিষয়ে আলোচনা ছাড়াও নতুন তহবিলের বিষয়ে আলোচনা করবে বাংলাদেশ। বিশেষ করে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের বিষয়ে নতুন তহবিল গঠন এবং সেখান থেকে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর জন্য অর্থায়ন নিশ্চিত করতে আলোচনা করা হবে। বাংলাদেশ দাবি করবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, খরা, বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে গৃহহীন ও বাস্তুচ্যুত মানুষদের জরুরিভাবে পুনর্বাসনের দায়িত্ব উন্নত বিশ্বকে নিতে হবে। এ ছাড়া অভিযোজন ও প্রশমন, সবুজ প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণে উন্নত বিশ্বকে এগিয়ে আসার আহবান জানাবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের জন্য আশার বিষয় হলো, এবারের কপ সম্মেলনে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ (ক্ষয়ক্ষতি ও ক্ষতিপূরণ) আলোচনায় গুরুত্ব পাবে। এ বিষয়ে আলোচনায় বাংলাদেশ শক্ত অবস্থান তুলে ধরবে। বলা হবে, বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার যথেষ্ট নয়। এ জন্য বিকল্প অর্থায়নের দাবি জানাবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্মেলনে যে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে, সেখানে এ বিষয়ে স্পষ্ট পরামর্শ থাকবে।

৬ থেকে ১৮ নভেম্ব্বর পর্যন্ত ১৩ দিন চলবে কপ২৭।   বাংলাদেশের পক্ষ হয়ে এই সম্মেলনে অংশ নেবেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা। গতবার স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কপ২৬-এ অংশ নিলেও এবার মিসর যাচ্ছেন না বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।