বগুড়ার নন্দীগ্রামে এক বিধবা নারীকে ধর্ষণের মামলায় আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে ওই নারীর সম্পর্কে জেঠাতো ভাসুর। গতকাল রবিবার রাতে থানায় মামলা দায়েরের পরপরই অভিযান চালিয়ে আব্দুর রাজ্জাককে (৬৩) গ্রেপ্তার করা হয়। সে উপজেলার নন্দীগ্রাম সদর ইউনিয়নের কুস্তা পূর্বপাড়ার মৃত আব্দুর সোবাহান প্রামানিকের ছেলে।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, কুস্তা গ্রামের ওই নারীর স্বামী ৭ বছর পূর্বে মারা গেছেন। দুই সন্তানের জননী বাড়িতে একা থাকার সুযোগে জেঠাতো ভাসুর আব্দুর রাজ্জাক ওই বাড়িতে গিয়ে তাকে কু-প্রস্তাব দিতো। গত ১৩ মে রাতে বিধবা নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভাসুর রাজ্জাক। লজ্জায় কাউকে কিছু না বলায় সুযোগ পায় ওই লম্পট। ২৫ জুন রাতে আবার ওই বিধবা নারীকে ধর্ষণ করে রাজ্জাক।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বিধবা নারীকে ধর্ষণের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে বিয়ের কথা বলে সময় পার করে রাজ্জাক। এই সুযোগে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে প্রভাবশালীরা। জনপ্রতিনিধির পরামর্শে থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেন ওই নারী।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মামলা দায়েরের পরপরই অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।