১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৭:০৫:২১ পূর্বাহ্ন


আর্থিক খাতে ৮৫৭১টি সন্দেহজনক লেনদেন
অর্থনীতি ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-১০-২০২২
আর্থিক খাতে ৮৫৭১টি সন্দেহজনক লেনদেন ফাইল ফটো


দেশের আর্থিক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন (এসটিআর) ও কার্যক্রম গত বছরের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। ২০২১-২২ অর্থবছ‌রে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে ৮ হাজার ৫৭১টি। এক বছরে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৬২ দশ‌মিক ৩২ শতাংশ বা ৩ হাজার ২৯১টি। ২০২০-২১ অর্থবছরে এই সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ২৮০টি। এই বছরে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৬২ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

এমন চিত্র উঠে এসেছে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধে গঠিত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত ওই প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। একই সময়ে বেড়েছে ই-কমার্স জালিয়াতি। তবে এ সময়ে বন্ধ করা গেছে ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে কর ফাঁকি।

দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতির গতি প্রকৃতি। স্বাভাবিকভাবেই অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পরিসরে সেবা ও বাণিজ্যে অর্থ লেনদেনে বাড়ছে মানি লন্ডারিংসহ নানা চতুরতা। সন্ত্রাস ও জঙ্গিসহ ঝুঁকিপূর্ণ অর্থায়ন বন্ধে কতটা শক্ত অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ; তা তুলে ধরতেই ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিএফআইইউ।

যেখানে জানানো হয়, গত অর্থবছরে মোট ৮ হাজার ৫৭১টি সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করেছে সংস্থাটি। টাকার অঙ্কে এ লেনদেনের পরিমাণ ২১ লাখ ১১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন ছিল ৫ হাজার ২৮০টি।

এ সময় জানানো হয়, ওভার ইনভয়েসিং ঠেকাতে পারলেও এখনও থামানো যায়নি আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে কর ফাঁকি।

এছাড়া জানানো হয়, গত অর্থবছরে যেমন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে তেমনি বেড়েছে জালিয়াতি।

গত অর্থবছরে সন্ত্রাস ও জঙ্গি অর্থায়ন বন্ধে পুলিশ, গোয়েন্দা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে ৮৩৩টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বিএফআইইউ।

তবে কী পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে তার কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছে বিএফআইইউ।