১২ বছর বয়সি এক কিশোরীকে গণধর্ষণের পর ধর্ষণের ভিডিও রেকর্ডিং করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৩ জন কিশোরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভারতের ওড়িশার জাজপুর জেলার জেনাপুর থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত তিনজন এবং নির্যাতিতা কিশোরী প্রত্যেককেই একই গ্রামের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে বলে জানা গেছে।
ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছিল কয়েকদিন আগে। তবে সেই বিষয়ে বাড়ির কাউকে কিছু জানায়নি নির্যাতিতা। সম্প্রতি ওই ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নির্যাতিতার পরিবারের এক আত্মীয় ভিডিওটি দেখে তার বাবাকে জানান। এরপরই মেয়েকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেন তার বাবা, যার উত্তরে বাড়ির লোকজনকে সব কথা খুলে বলে কিশোরী।
এরপরেই তিন নাবালকের বিরুদ্ধে জেনাপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার বাবা।
জেনাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উমাকান্ত নায়েক জানিয়েছে, নাবালিকাকে গণধর্ষণ করার সময় সম্পূর্ণ ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করে রাখে ৩ কিশোর। এরপর নির্যাতিতার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা দাবি করে তারা। টাকা দিতে না পারলেই ধর্ষণের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ওই কিশোরীকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে।
কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকার করে নাবালিকা। এরপরেই গত সপ্তাহে ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে দেয় তিন অভিযুক্ত।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার তিনজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি, পকসো আইন এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তাদের জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে তোলা হয়েছে। বিচারক তিনজনকেই হোমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।