২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ১২:২২:২৬ অপরাহ্ন


রাজশাহীতে কোটি টাকার হেরোইন পাচারকালে কনস্টেবল নুর মোহাম্মদ গ্রেফতার
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-১০-২০২২
রাজশাহীতে কোটি টাকার হেরোইন পাচারকালে কনস্টেবল নুর মোহাম্মদ গ্রেফতার কনস্টেবল নুর মোহাম্মদ


কোটি টাকার হেরোইন পাচারকালে আরএমপি চন্দ্রিমা থানার কনস্টেবল নুর মোহাম্মদকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 

শনিবার (২৯ অক্টোবর) দিনগত রাত সাড়ে আটটার দিকে গোদাগাড়ী পৌর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার দেহ তল্লাশি করে তার কাছ থেকে ৫০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। 

জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গোদাগাড়ী পৌর এলাকার সারাংপুর পুলিশ পাড়া থেকে আরও ৫০০ গ্রাম হেরোইনসহ তার দুই সহযোগী মাদক সম্রাট মিঠুন আলি (৩২) ও রবিউল ইসলামকে (৩৩) গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারি হলো: পুলিশ কনস্টেবল নুর মোহাম্মদ ওরফে নবীউল ইসলাম পৌর এলাকার সারাংপুর পুলিশ পাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। মিঠুন আলী সারাংপুর জোতগোসাই গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন ও রবিউল ইসলাম সারাংপুর পুলিশ পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে।

গ্রেফতারের পর রাতেই তাদেরকে রাজশাহীতে জেলা ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ কনস্টেবল নবীউল ইসলাম মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এই খবর জানার পর রাজশাহী মহানগর পুলিশ কর্তৃপক্ষ কনস্টেবল নবীউল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছেন।

পুলিশ কনস্টেবল নুর মোহাম্মদ নুর নবী ইসলাম (২৮) চাকরি করেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) চন্দ্রিমা থানায়। পুলিশে চাকরির পাশাপাশি করছিলেন হেরোইনের ব্যবসাও।

রবিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাই।

তিনি জানান, ৫০০গ্রাম হেরোইনসহ আটকের পর কনস্টেবল নবীউলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ জানতে পারে পাচারের জন্য তার পার্টনার গোদাগাড়ীর শীর্ষ মাদক সম্্রাট মিঠুন আলীর পুলিশ পাড়ার বাসায় আরও হেরোইন মজুদ আছে। পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে মিঠুন আলীর বাড়িতে তার শয়ন কক্ষে তল্লাশী চালিয়ে আরও ৫০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করেন। 

এ সময় মিঠুন আলী ও তার সহযোগী সারাংপুর গ্রামের রবিউল ইসলামকেও গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা একে অপরের সহযোগীতায় মাদক পাচারের কাজ করছিলেন।জানা 

জেলা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, পুলিশ কনস্টেবল নবীউল ইসলাম অপর দুই সহযোগীর সঙ্গে অংশীদার ভিত্তিতে ভারত থেকে হেরোইন আনিয়ে দেশের ভেতরে পাচারের কাজ করছিল। অধিকাংশ মাদকই পুলিশ কনস্টেবল নবীউল বহন করতেন। পুলিশ পরিচয়ে সে নিরাপদে মাদক পাচারের কাজ করে আসছিল। 

এ ব্যপারে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে ডিবি পুলিশের একজন কর্মকর্তা। রোববার সকালে গোদাগাড়ী থানায় ৩ জনকে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।