২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৪:৫৮:১৭ অপরাহ্ন


নিয়ামতপুরে টিকটকের পেছনে রয়েছে অন্যরকম কারবার গ্রামবাসী রয়েছে আতংকে
মোঃ জাবেদ আলী নিয়ামতপুর উপজেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-১০-২০২২
নিয়ামতপুরে টিকটকের পেছনে রয়েছে অন্যরকম কারবার গ্রামবাসী রয়েছে আতংকে নিয়ামতপুরে টিকটকের পেছনে রয়েছে অন্যরকম কারবার গ্রামবাসী রয়েছে আতংকে


কি বলবো? কার কাছে বলবো? বলার বা বিচার চাওয়ার কোন জায়গা নাই। গ্রামের তথা এলাকার যুবক ছেলে-মেয়েদের নষ্ট করে দিচ্ছে। মান সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে গ্রামে। এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাদের বিভিন্নভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। তাই দিন দিন তাদের সাহস আরো বেশী বৃদ্ধি পাচ্ছে। কথাগুলো আক্ষেপের সাথে বলছিল নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রামবাসী। টিকটক ফান ভিডিওর নামে অশ্লীল কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে গ্রামে। উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের ঈশ্বরদেবত্তর গ্রামে এই সমস্ত অবৈধ কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে একই গ্রামের রজব আলীর ছেলে মতিউর রহমান মিঠন। মাহা ফান টিভি ও বিজি ফান এলাটডি নামে দুইটি  প্রকাশ্য ইউটিউব চ্যানেল এবং বিভিন্ন নামে ফান ভিডিও চ্যানেল খুলে অল্প বয়স্ক ছেলে মেয়েদের অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা ভাবিচা ইউনিয়নের ঈশ্বরদেবত্তর (কালাইডাংগা) গ্রামের দক্ষিন পাশের কয়েক একর জায়গা জুড়ে তৈরী করা রয়েছে তাদের আখড়া। সেখানে মাগুরা, ব্রাম্মনবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সের মেয়েদের রেখে প্রকাশ্যে ফান ভিডিও তৈরী করলেও অভিযোগ রয়েছে ফান ভিডিওর পেছনে রয়েছে মাদক, পতিতাসহ আরো অনেক অবৈধ কারবার। গ্রামের অল্প বয়স্ক ছেলে-মেয়েদের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে লাগিয়ে দিচ্ছে ঐ সমস্ত কাজে।  প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিরা বিষয়গুলো জানলেও অজ্ঞাত কারণে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় না।

এ বিষয়ে মতিউর রহমান মিঠনের আখড়ায় সরেজমিনে গেলে তাকে পাওয়া যায় নাই। সেখানে অল্প বয়স্ক ৬/৭জন মেয়েদের দেখা গেছে। যাদের বয়স ১২ থেকে ১৬ বছরের হবে। ছিল কিছু ছেলে। তাদের সাথে কথা বলতে চাইলে কেউ কথা বলতে রাজী হয় নাই। এ বিষয়ে ঈম্বরদেবত্তর গ্রামের বৃদ্ধ মফিজ সরকার বলেন, আমাদের গ্রামটা নষ্ট হয়ে গেল। এই টিকটক না কি যেন বলে তারা গ্রাম সমাজ সব নষ্ট করে দিলো। গ্রামের যুবতী মেয়েগুলো  টিকটকের নামে অশ্লীল কাজ করে বেড়ায়। এ পর্যন্ত আমাদের গ্রামের চারটি মেয়ে বাড়ী থেকে পালিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত একটি মেয়েকে খুজে পাওয়া যায় নাই।  এ নিয়ে থানা পুলিশ করেও কোন লাভ হয় নাই। অনেক চেষ্টা করেও  ছেলে মেয়েদের ঘরে রাখা যায় না।

একই গ্রামের  আরেক বাসিন্দা এমাজ উদ্দিন বলেন, টিকটক পার্টির জন্য আমাদের ভালই হয়েছে, গ্রামের মেয়েদের আমাদের আর বিয়ে দিতে হয় না। তারা নিজেরাই নিজেরাই পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে নেয়। সমাজটাকে একেবারে নষ্ট করে দিলো। কোথাও গিয়ে প্রতিকার হয় না।

একই গ্রামের  যুবক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, তারা তো অনেক গরীব পরিবারকে সাহায্য করছে। যারা টাকার অভাবে লেখাপড়া করতে পায় না। তারা লেখাপড়া না করে মিঠনের সাথে টিকটকে যুক্ত হয়েছে। তবে একদিক দিয়ে উপকার হলেও সমাজের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে অত্র ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওবাইদুল হকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায় নাই। অত্র ওয়ার্ডের সদস্য মামুনুর রশীদদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায় নাই।

এ বিষয়ে মতিউর রহমান মিঠনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সে ফোন রিসিভ করে নাই।

এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির বলেন এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা  হবে।