১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০১:৩৮:৩৪ অপরাহ্ন


মহানগরীর শহীদ মিনারে বিনামূল্যে যোগ্যব্যায়াম ও শরিরচর্চা চলছে নিয়ামিত
ইব্রাহীম হোসেন সম্রাট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-১০-২০২২
মহানগরীর শহীদ মিনারে বিনামূল্যে যোগ্যব্যায়াম ও শরিরচর্চা চলছে নিয়ামিত যোগ্যব্যায়াম ও শরিরচর্চা


শীতের কুয়াশামোড়া নীরব শহর। ভোরের অমলধবল আলো তখনো ফোটেনি। হঠাৎ একটি-দুটি গাড়ি কুয়াশা কেটে পাশ দিয়ে শাঁ করে চলে যায়। গরম কাপড়ে গলা-মাথা মুড়িয়ে দু-চারজন স্বাস্থ্য-সচেতন মানুষকে ত্রস্ত পায়ে হেঁটে যেতে দেখা যায়। এঁদের অনেকের গন্তব্য মহানগরীর তালাইমারি শহীদ মিনার মাঠে। 

আস্তে আস্তে শহীদ মিনার সামনে মাঠে অনেক নারী-পুরুষের ভিড় জমে ওঠে। প্রায় সবার বয়স ত্রিশের ওপরে। পেশায় তাঁরা সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষক-চিকিৎসক। কেউ কেউ চাকরি থেকে অবসরেও চলে গেছেন। সবার উদ্দেশ্য একটাই, ব্যায়ামের মাধ্যমে সুস্থ-সবল থাকা। ওষুধ খাওয়া থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা। রোগের প্রতিকারের চেয়ে আগেভাগেই রোগ প্রতিরোধ করা।

সকাল ছয়টা ত্রিশ (৬:৩০) থেকে শুরু হয় শহীদ মিনার মাঠে বিনামূল্যে যোগব্যায়াম ও শরীরচর্চা, চলে এক ঘণ্টা। এরপর সবাই নিজ নিজ পথে ছড়িয়ে পড়েন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ছাড়া এই শরীরচর্চা কখনো বন্ধ থাকে না। এই এক ঘণ্টা সময় অনেকটা উৎসবের মতো। সবাই হয়ে ওঠেন এক পরিবারের সদস্য।

গতকাল সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল, প্রশিক্ষক মো: মোস্তফা নির্দেশ দিচ্ছেন আর সবাই তাঁকে অনুসরণ করছেন। নীরব-নিঃশব্দে চলছে শরীর মজবুত রাখার কসরত।

আলোচনায় জানা গেল, এর শুরুটা হয়েছিল ২০২২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি। তখন মূলত কজন বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ সকালবেলা হাঁটাহাঁটি করে শহীদ মিনার নদীর ধারে এসে জড়ো হতেন। মোঃ মোস্তফা (৩০) তাঁদের নানা রকম ব্যায়াম দেখিয়ে দিতেন। এতে অনেকেই উপকৃত হয়েছেন। তাঁর বদলে দেওয়া ব্যায়াম চর্চাকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। 

মোঃ মোস্তফা রাজশাহীর সময় কে জানান, মোঃ মোস্তফা তরুণ বয়স থেকেই নিয়মিত কারাতের ওপর কঠোর অনুশীলন করেন। তিনি ১৯৯৯ সালে ক্যারাতে ১ম ড্যান ব্ল্যাক বেল্ট পদক ও ২০০৭ সালে ২ ড্যান ব্ল্যাক বেল্ট পদক অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি একজন কারাতে প্রশিক্ষক।

 নানা কারণে যাঁরা বাণিজ্যিক ব্যায়ামাগারে যেতে পারেন না, তাঁদের কীভাবে শরীরচর্চার আওতায় আনা যায় তা নিয়ে এই উদ্দেগ গ্রহণ করেন। একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার পরামর্শে তাঁরা একটি সংগঠন করলেন, যা ওয়াই এম স্পোটিং ক্লাব নামে পরিচিত। মূলত তার সংগঠনের উদ্দেগ্যই এই সমাজসেবা মূলক উদ্দ্যেগ টি সফল হয়েছে।